শাহিনবাগের আন্দোলন নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করলেন Giriraj Singh
হাইলাইটস
- শাহিনবাগের বিক্ষোভ আন্দোলনকে নিয়ে ফের আপত্তিকর মন্তব্য
- এবার বিতর্কিত টুইট করলেন বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী গিরিরাজ সিং
- শাহিনবাগ থেকেই আত্মঘাতী জঙ্গিদের জন্ম হচ্ছে, বলেন তিনি
নয়া দিল্লি: শাহিনবাগে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণকারীদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে, এখান থেকেই (Shaheen Bagh) গোটা জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। আগামী শনিবার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Elections 2020)। তার আগে বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা। বিভিন্ন সময়ে বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের শাহিনবাগ নিয়ে করা আপত্তিকর মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল বিজেপির প্রবীণ নেতা গিরিরাজের এই মন্তব্য। প্রায় মাস দুয়েক ধরে দিল্লির শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। সেই আন্দোলন সম্বন্ধে কটাক্ষ করে বৃহস্পতিবার টুইট করেন তিনি। গিরিরাজ সিং লেখেন, "এই শাহিনবাগ এখন আর শুধু আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল নয়। এটা আসলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের জন্মভূমি। দেশের রাজধানীতে বলে গোটা দেশের বিরুদ্ধে এখান থেকে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছে"।
এর আগেও বেশ কয়েকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন গিরিরাজ সিং। কিন্তু তারপরেও তিনি যে নিজেকে বদলাননি, তার প্রমাণ শাহিনবাগ নিয়ে তাঁর এই সাম্প্রিতক টুইট।
শুধু কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী গিরিরাজ সিং-ই নন, শনিবার দিল্লি নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে প্রচারে এসে শাহিনবাগের প্রতিবাদ বিক্ষোভকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিজেপি নেতারাও।
১৮ ডিসেম্বর থেকে দিল্লির শাহিনবাগের রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন অসংখ্য পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা। ফলে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দক্ষিণ-দিল্লির রাস্তাঘাট। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তাঁরা।
শুধু শাহিনবাগই নয়, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মকে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে । কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।