Anti-CAA Protest: প্রায় দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ চলছে
হাইলাইটস
- শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা অন্য জায়গায় গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করুন, বলল আদালত
- এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে দু'জন মধ্যস্থতাকারীও নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট
- মধ্যস্থতাকারীরা শাহিনবাগ ছেড়ে অন্য কোথাও উঠে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলবেন
নয়া দিল্লি: শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা যাতে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এই অঞ্চল (Shaheen Bagh) ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন সে ব্যাপারে কথা বলতে একজন আইনজীবী নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদে গত প্রায় দুমাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ (Anti-CAA Protest) দেখাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। আর ওই বিক্ষোভের ফলে প্রতিদিন যানজটের সমস্যায় ভুগছেন দিল্লিবাসী। আদালতের (Supreme Court) মতে ওই ভাবে একটি জনবহুল স্থান আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো সাধারণের পক্ষে যথেষ্ট অসুবিধাজনক। তাই শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা যদি ওই স্থান ছেড়ে অন্য কোথাও উঠে গিয়ে বিক্ষোভ করেন তাহলে সকলের পক্ষেই সুবিধা হয়, এমনটাই মনে করছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটি বাঁধবে কে? সেই জন্যেই এ বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে প্রস্তাব দেওয়ার জন্যে আইনজীবী নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এক প্রাক্তন আমলাকেও মধ্যস্থতার জন্যে নিয়োগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী খুব তাড়াতাড়ি প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেজে এবং প্রাক্তন প্রধান তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাট হাবিবুল্লা শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অন্য কোনও স্থানে আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বোঝাবেন। সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখানোয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই, আন্দোলনকারীদের এই কথাও বোঝানোর চেষ্টা করবেন ওই ২ মধ্যস্থতাকারী।
শাহিনবাগ নিয়ে অমিত শাহকে কটাক্ষ আপ প্রার্থীর
"প্রতিবাদের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। রাস্তা না আটকে যাতে তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে পারেন এমন বিকল্প অঞ্চল আছে কী?", সরকার পক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট ।
তার জবাবে দিল্লি পুলিশের আইনজীবী বলেন, "বিক্ষোভকারীরা চাইলে অন্য কোনও জায়গা বেছে নিতে পারেন।"
সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ এবং এনপিআর বা জাতীয় নাগরিক নিবন্ধীকরণের বিরুদ্ধে প্রায় মাস দুয়েক ধরে দক্ষিণ দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ, ওই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুরাও আছে। কিন্তু এই বিক্ষোভের জেরে প্রতিদিন থমকে যাচ্ছে দিল্লির যান চলাচল। এই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে আগের দিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, "বিক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে চলেছে। সাধারণ অঞ্চলে এই ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ চলতে পারে না। অবস্থান জমায়েতের জন্যে কোনও জায়গা চিহ্নিত করা থাকলে সেখানে হতে পারে"।
ফিরে এলেন অমিত শাহের বাড়ির দিকে যাত্রা করা শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা
"আপনারা কি এভাবে কোনও জনপথ বা ব্যস্ততম রাস্তা আটকে রাখতে পারেন? কেউ জনসাধারণের চলার রাস্তা অবরোধ করে অন্যের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে না", প্রয়োজনে এই প্রতিবাদ-জমায়েতের জন্যে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরামর্শও দেয় আদালত। আগের দিনের শুনানির সূত্র ধরেই তাই সোমবার সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কথা বলার জন্যে দু'জন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করল।
দিল্লির শাহিনবাগের জন সমাবেশে প্রতিবাদ ও আন্দোলনের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে "বিস্তারিত নির্দেশিকা" চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। নয়ডার সঙ্গে দিল্লির সংযোগকারী এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। তাঁদের জীবিকা নির্বাহের জন্যে বেরোতে হচ্ছে। হাসপাতাল ও স্কুলে যেতেও গিয়েও হেনস্থা হতে হচ্ছে মানুষকে। অত্যন্ত ব্যস্ত এই জায়গায় এভাবে যাতে প্রতিবাদ-আন্দোলন না করা হয় তার জন্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করা হয় আবেদনে।