This Article is From Oct 16, 2019

দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য কাকে দায়ী করছে আপ সরকার!

Air Pollution ছড়ানো সত্ত্বেও খড় পোড়ানো চলছে, তবে স্যাটেলাইটের চিত্র এই ইঙ্গিতও দিয়েছে যে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় খড় পোড়ানো আগের তুলনায় কমেছে

দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য কাকে দায়ী করছে আপ সরকার!

Delhi: লাল বিন্দুগুলি হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের মতো প্রতিবেশী রাজ্যে খড় পোড়ানোর ইঙ্গিত দেয়

নয়া দিল্লি:

বায়ু দূষণে নাজেহাল দিল্লিবাসী। মঙ্গলবার প্রবল বায়ু দূষণের কবলে পড়ে দেশের রাজধানী (Delhi)। ফের এই ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসে দিল্লি সরকার। তাঁরা নাসার উপগ্রহ চিত্র তুলে ধরে জানিয়েছে যে, রাজধানী এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে "প্রচুর খড় পোড়ানো" হয়েছে, যার ফলে বায়ু দূষণের (Air Pollution) মাত্রা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কাছে একটি চিঠি দিয়ে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী কৈলাশ গেহলট দাবি করেছেন যে নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে খড় পোড়ানোর (stubble burning) ফলেই দেশের রাজধানীতে "পিএম ২.৫ এর মতো উচ্চস্তরে দূষণ ছড়ায়"। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আওতাভুক্ত পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয় যে ওই দূষণ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় স্থানীয় কোনও উৎস থেকেই ছড়াচ্ছে যা প্রতি শীতে দেশের রাজধানীর বাতাসে থাবা বসায় ।

জানা গেছে, প্রতিবার ওই অঞ্চলগুলিতে ফসল কাটার পরে পড়ে থাকা খড় সাফ করার উদ্দেশ্যে সেগুলিকে পোড়ানো হয়। সরকার এই ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, এখনও উত্তর ভারতের বহু জায়গায় এইভাবে খড় পোড়ানো চলছে।  তবে স্যাটেলাইটের চিত্র এই  ইঙ্গিতও দিয়েছে যে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় খড় পোড়ানো আগের তুলনায় কমেছে, কিন্তু তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

‘চরম' অসহনীয় দিল্লির বাতাস

ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে শহরের বায়ু মানের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানকার একজন প্রবীণ বিজ্ঞানী কুলদীপ শ্রীবাস্তব আশা সুরে বলেন, "পশ্চিমের হিমালয় অঞ্চল থেকে আসা একটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে দিল্লি ও সেই সংলগ্ন অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে বায়ুর গতি বেড়ে যেতে পারে, ফলে দূষণ এক জায়গায় আটকে না থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে দিল্লির বাতাসকে একটু স্বস্তি দিতে পারে" ।

বাজি ফাটানোর উপর বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দিল্লিতে বায়ু দূষণের দাপট

এদিকে, দিল্লি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেনারেটর চালানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেননা তাঁরা বলছেন জেনারেটরের কালো ধোঁয়া থেকে দূষণের পরিমান বৃদ্ধি হয়। ফলে প্রশাসনের নয়া নির্দেশ অনুসারে রাজধানী অঞ্চল জুড়ে জেনারেটর সেটগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং জরুরি পরিষেবাগুলি ছাড়া ব্যবহার করা বারণ। এটি গ্রেড রেসপন্স অ্যাকশন পরিকল্পনার অংশ, যাতে দূষণের তীব্রতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কঠোর দূষণ বিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণে এই পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

দেখুন ১৫.১০.২০১৯-এর সেরা খবর:

.