This Article is From Dec 06, 2019

রাজধানী সাজল রামধনুতে, দূষণ দূর হটো

অঞ্চল সেজে উঠেছে নতুন সাজে। এটা যেন উৎসবের সামিল বস্তিবাসীদের কাছে। হাসিমুখে সবাই জানিয়েছেন, নিজেদের ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট দেখে নিজেরাই চিনতে পারছেন না তাঁরা।

রাজধানী সাজল রামধনুতে, দূষণ দূর হটো

রঙিন দেওয়াল চিত্রে রঙিন রাজধানী (প্রতীক চিত্র)

নয়া দিল্লি:

একই শহরের দুটি ভিন্ন রূপ। একদিকে দূষণের চোটে থাকা দায় দিল্লিতে (New Delhi)। অন্যদিকে, সেই দিল্লিরই রঘুবীর নগরের বস্তি অঞ্চলের (slum) আকাশে যেন লাগল রামধনুর ছায়া। পুরো অঞ্চলের দেওয়াল সেজে উঠল রঙিন চিত্রকথা বা দেওয়াল চিত্রে। তাতেই রঙিন ঘিঞ্জি অঞ্চলের একচিলতে আকাশ। সেখানকার মানুষদের মুখগুলো। মলিনতা সরিয়ে নতুন সাজে রঘুবীর নগর (Raghubir Nagar) ঝলমলিয়ে উঠতেই সেখানে ভিড় নিজস্বীদের। দেওয়ালকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে তাঁদের ছবি তোলার হিড়িক দেখার মতো। 

সাইকেল মেরামতিতে ঢিলেমি, সোজা পুলিশের কাছে নালিশ জানাল ক্ষুব্ধ বালক

অন্যান্য শহরের বস্তিগুলোর থেকে খুব বেশি আলাদা নয় রঘবীর নগরের বাসিন্দাদের। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে, অপরিচ্ছন্ন ভাবে এখানে থাকেন শহরের ২০ লক্ষ মানুষ। সরু গলি দিয়ে পাশাপাশি হাঁটতে গেলে গায়ে গা ঠেকে। ঘিঞ্জি বাড়িগুলো উদ্ধতভাবে যেন ঢেকে রেখেছে আকাশের মুখ। তার মধ্যেই এই রঙের ঝিলিক যেন ছড়িয়ে দিয়েছে একমুঠো আনন্দ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ১০০টি নানা ধরনের ছবিতে সেই বস্তির দেওয়ালকে রঙিন করেছেন ১৫-২০ জন স্বেচ্ছ্বাসেবী। যাঁদের তুলিয়ে ফুটে উঠেছে প্রকৃতি, দেব-দেবী আর রোজের জীবনের ছবি। রঘুবীর নগরকে এখন চেনা দায়।

4v5lov9s
i3seq1ro
dq4iqok

এপ্রসঙ্গে দিল্লি আর্টস স্ট্রিটের প্রতিষ্ঠাতা যোগেশ সাইনি জানিয়েছেন, বস্তির বাসিন্দাদের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতেই এই প্রচেষ্টা। স্থানীয় সাংসদের অনুরোধেই এই শিল্পকর্ম বাস্তবায়িত হয়েছে। নোংরা-দুর্গন্ধময় জায়গায় থাকতে থাকতে এখানকার মানুষ আনন্দে বাঁচার কথাই যেন ভুলতে বসেছিলেন। তাঁদের কথা ভেবেই এই কাজ।

m7s1gs2c
ekp4u1dk

অঞ্চল সেজে উঠেছে নতুন সাজে। এটা যেন উৎসবের সামিল বস্তিবাসীদের কাছে। হাসিমুখে সবাই জানিয়েছেন, নিজেদের ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট দেখে নিজেরাই চিনতে পারছেন না তাঁরা। রঙিন হতে কার না প্রাণ চায়!

Click for more trending news


.