COVID-19: দিল্লিতে প্রায় ১০০ জনের মতো মানুষ করোনা আক্রান্ত, মারা গেছেন ২ জন (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- দিল্লির ক্যানসার হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
- আরও সংক্রমণের ভয়ে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল ওই হাসপাতাল
- ওই চিকিৎসক তাঁর ব্রিটেন ফেরত আত্মীয়ের থেকেই ওই রোগ পেয়েছেন বলে ধারণা
নয়া দিল্লি: এবার করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) শিকার হলেন দিল্লির ব্যস্ততম এক হাসপাতালের চিকিৎসক। এর ফলে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে আগেভাগে দিল্লি স্টেট ক্যানসার ইনস্টিটিউটটি (Delhi State Cancer Institute) বন্ধ করে দিল দিল্লি সরকার। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই হাসপাতাল ভবনের ওপিডি, অফিস এবং ল্যাবগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সব জায়গা বিশেষভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যাঁরা ওই করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরও অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে। ওই চিকিৎসক সম্প্রতি ব্রিটেন ফেরত এক আত্মীয়ের সংস্পর্শে আসেন। মনে করা হচ্ছে সেই আত্মীয়দের কাছ থেকেই COVID-19 ভাইরাস তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে।
দিল্লির মসজিদের সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ১২৮
দিল্লি স্টেট ক্যানসার ইনস্টিটিউটের নির্দেশক বি এল শেরওয়াল বলেন, "ওই চিকিৎসকের ভাই এবং শ্যালিকা সবে মাত্র ব্রিটেন থেকে দেশে ফিরে এসেছেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁদের থেকেই ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।"
দিল্লিতে প্রায় ১০০ জনের মতো মানুষ করোনা আক্রান্ত, মারা গেছেন ২ জন।
"মুসলিমদের দোষারোপের অজুহাত মাত্র", দিল্লির মসজিদ থেকে করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে বললেন ওমর আবদুল্লাহ
এর আগে দিল্লি সরকার পরিচালিত মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে কাজ করা একজন চিকিৎসক দম্পতির শরীরেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই মহল্লা ক্নিনিকে দেখাতে এসেছিলেন সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা এক মহিলা। তাঁর থেকেই ওই রোগ চিকিৎসক দম্পতির শরীরেও সংক্রামিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরে জানা যায়, মহল্লা ক্লিনিকের ওই চিকিৎসককে যে সমস্ত রোগীরা অসুস্থতার কারণে দেখাতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
রাজধানীর (Delhi) অলিতে গলিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেয় মহল্লা ক্লিনিকগুলো। চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার আশায় প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমান অসংখ্য রোগী।
এদিকে দেশ জুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাঁদের সেবায় নিরন্তর ব্যস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে যে, আমাদের দেশে ঠিকভাবে সুরক্ষাকিট না পাওয়ায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসকরা নিজেরাই ওই মারাত্মক ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, যথেষ্ট স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করার সময় করোনা ভাইরাস রোগীদের সংস্পর্শে আসায় দেশ জুড়ে প্রায় ১০০ জন চিকিৎসক করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই রকম অসংখ্য অভিযোগ আসছে।