ওই পুলিশ আধিকারিক বেশ ভাল রকমই আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে
হাইলাইটস
- ছুটন্ত গাড়ির বনেটে ঝুলে ঝুলে যাচ্ছেন এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী
- মারাত্মক এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল দুনিয়ায়
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীকে আটকাতেই প্রাণের ঝুঁকি নেন এক ট্রাফিক পুলিশ
নয়া দিল্লি: ট্রাফিক আইন রক্ষা করতে কড়া পদক্ষেপের নজির গড়লেন দিল্লির এক ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিক (Delhi Traffic Police)। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী একটি চারচাকার গাড়িকে থামানোর চেষ্টা করলে সেটি না থামায় তার সামনে ঝাঁপ দিতেও দ্বিধা করেননি ওই ট্রাফিক পুলিশ, গাড়িটির বনেটের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু দেখা যায়, বনেটে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই পুলিশ আধিকারিককে নিয়েই প্রায় ২ কিমি পথ ছুটে চলে গাড়িটি। জানা গেছে ঘটনাটি ঘটে গত বছরের নভেম্বর মাসে নাঙ্গলোই চকে (Nangloi Chowk)। এতদিন পরে হঠাৎই ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়। ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক, আধিকারিকদের উদ্দেশে এই অনুরোধও করেন নেটিজেনরা।
দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ যখন নাঙ্গলোই চক এলাকায় পথচলতি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা যাচাই করে দেখছিল তখনই অন্য একটি রাস্তা দিয়ে হঠাৎই একটি গাড়ি চালিয়ে আসতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। ট্রাফিক পুলিশ চালককে গাড়িটি থামতে বললে সেটির গতি ধীর হয়। কিন্তু সাময়িক ভাবে গাড়িটির চলার গতি একটু ধীর করেও ট্রাফিক আধিকারিকদের বোকা বানিয়ে আবার গতি দ্রুত করে পালানোর চেষ্টা করে চালক।
পুতুল পুতুল পুলিশ! দিব্য সামলাচ্ছে ট্রাফিক
আর তাতেই রোখ চেপে যায় ট্রাফিক আধিকারিকের মাথায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকাতে সুনীল নামের এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী ওই গাড়িটির বনেটের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
ঘটনাটি গত বছরের নভেম্বর মাসে ঘটলেও, সম্প্রতি এর ভিডিও ভাইরাল হয়
কিন্তু তাতে কী! ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে গাড়ির বনেটে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেও গাড়ি থামানোর পরিবর্তে গতি বাড়িয়ে তাঁকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ টেনে নিয়ে যায় চালক। আর গাড়ির চালকের পাশে বসে থাকা সহযাত্রী নিজের মোবাইল ফোনে গোটা ঘটনাটির ভিডিও করেন, যাতে দেখা যায় যে কী বিপজ্জনক ভাবে গাড়ির বনেটে ঝুলছেন ওই পুলিশ কর্মী।
Viral: ইন্টারনেটের মন জয় করেছে দিল্লির বাসিন্দা এই হেলমেট পরা কুকুর
গাড়ির গতি ধীর করে তারপরে অবশ্য ওই পুলিশ কর্মীকে পরে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় গাড়িটি।
এই ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। তবে এখনও পর্যন্ত দোষীকে খুঁজে বের করে কোনও শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি বলেই জানা গেছে।