हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Feb 26, 2020

হিংসা কী! শান্তির বার্তা নিয়ে জাফরাবাদ ও মৌজপুরের মাঝে দাঁড়িয়ে এক জনপথ

বৈচিত্র্যর মধ্যেই ঐক্য। আর ঐক্যর জোরেই শান্তি এবং সম্প্রীতি।হিংসাদীর্ণ উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটা নিপাট শান্ত মহল্লা ঘুরে এমন দৃশ্য চাক্ষুষ করলেন সাংবাদিকরা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Highlights

  • শান্তির বার্তা নিয়ে জাফরাবাদ ও মৌজপুরের মাঝে দাঁড়িয়ে ছোট এক জনপথ
  • হিন্দু, মুসলিম, শিখ; তিন সম্প্রদায়ের বাস এই জনপথে
  • হিংসার আঁচ লাগেনি ছোট ওই পাড়ায়, দাবি স্থানীয়দের
নয়া দিল্লি :

বৈচিত্র্যর মধ্যেই ঐক্য। আর ঐক্যর জোরেই শান্তি এবং সম্প্রীতি।হিংসাদীর্ণ উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটা নিপাট শান্ত মহল্লা ঘুরে এমন দৃশ্য চাক্ষুষ করলেন সাংবাদিকরা। যেখানে দিল্লির ওই অংশের ইতিউতি ছড়িয়ে সংঘর্ষের চিত্র। ভাঙা, অগ্নিদগ্ধ দোকান। লুটপাটেরে চিহ্ন স্পষ্ট। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দগ্ধ গাড়ি ও অন্য সম্পত্তি। সেখানে জাফরাবাদ ও মৌজপুরের মাঝের এই মহল্লা যেন শান্তির বার্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে। অন্তত এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গিয়েছে। হিন্দু ও মুসলিম জনজাতির মিলিত বাস ওই মহল্লায়। তাঁরাই এলাকায় ঢোকার আগে দ্বাররক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে। পুলিশি ব্যারিকেডের পিছনে দাঁড়িয়ে সিরাজ আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, এখানে সব ঠিক আছে। কোনও অশান্তি নেই। এটাই শেষ প্রান্ত যেখানে মিশ্র সম্প্রদায়ের বাস। জাফরাবাদের দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে সিরাজের দাবি, "ওই দিকে মুসলিমদের বাস আর ওই দিকে (মৌজপুর) হিন্দু মহল্লা।"

“আমার কথায় ভরসা রাখুন” দিল্লির হিংসা কবলিত এলাকায় বললেন অজিত দোভাল

ভৌগলিক দূরত্বের বিচারে জাফরাবাদ ও মৌজপুর হাঁটাপথে কয়েক কিমি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি হিংসা-দীর্ণ এই দুটি এলাকা। তবে, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেই মহল্লায় আবার অন্য দৃশ্য। স্থানীয় যুবক মুকেশ কুমারের দাবি, এখানে সবাই মিলেমিশে থাকে।এর আগেও এই ধরণের সংঘর্ষের আঁচ এই এলাকায় পড়েনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওপর এক স্থানীয়ের দাবি, "ঘটনার দিন থেকে মিলে মিশে রাত জাগছে পাড়া। প্রত্যেকেই সতর্ক এবং সজাগ। 

মঙ্গলবার রাতে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের বাইরে ধর্নায় বসা সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদীদের হটিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

তবে এই ঘটনার জন্য বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রকে দায়ী করে এক যুবকের অভিযোগ, "এতদিন ধরে এই ধর্না চলছে কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে কপিল মিশ্র এসে উস্কানি দিয়ে এসব শুরু করলেন।" সেই যুবক আরও বলেছেন, আমাদের পাড়ায় মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার সব আছে। তাই আরও বেশি সজাগ আছি আমরা। 

"বিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে যারা, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর," দিল্লি হিংসায় নির্দেশ হাইকোর্টের

এযাবৎকাল আমরা মিলেমিশে ঈদ, দীপাবলি, গুরু পরব পালন করে এসেছি। কোনওদিন সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি হয়নি। বহিরাগতরা এসে এসব শুরু করেছে। দিল্লি হিংসায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম দুই শতাধিক। 

Advertisement