দিল্লি হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
হাইলাইটস
- দিল্লি হিংসা নিয়ে রাজনীতি করছে আপ-কংগ্রেস
- বৃহস্পতিবার অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর
- দিল্লি হিংসায় মৃত্যু বেড়ে ৩৪। আহত দ্বি-শতাধিক
নয়া দিল্লি: দিল্লি হিংসা নিয়ে রাজনীতি করছে আপ-কংগ্রেস (Oppositions Party)। বৃহস্পতিবার অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javrekar)। রবিবার থেকে ছড়িয়ে পড়া হিংসায় (Delhi Violence) এযাবৎকাল ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম দ্বি-শতাধিক। সেই পরিস্থিতিতে এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই বৈঠকে তাঁকে কপিল মিশ্রর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তা এড়িয়ে যান প্রকাশ জাভড়েকর। উলটে আইবি আধিকারিকের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে আপকে (AAP) কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। গোয়েন্দা আধিকারিকের মৃত্যু নিয়ে কেন নীরব বিরোধীরা? জানতে চান ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে দুষে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, "সনিয়াজি হিংসায় মদত জুগিয়েছেন। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় উনি (সনিয়া গান্ধি) শেষ দেখে ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "বিজেপি চেষ্টা করছে শান্তি ফেরাতে। উলটে আপ-কংগ্রেস রাজনীতি করছে। এই কৌশলের তীব্র নিন্দা করছি। দু'মাস আগেই ডিসেম্বরে সনিয়া গান্ধিজি শেষ দেখে ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তখনই উস্কানি দেওয়া হয়েছিল।" আপ প্রসঙ্গে তাঁর পরামর্শ, "দিল্লির শাসক দলের উচিত শান্তি ফেরাতে তৎপর হওয়া। তা না করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ধর্মের ভিত্তিতে আক্রান্তদের চিহ্নিত করছেন। সব রাজনৈতিক দলের উচিত, কীসে শান্তি ফিরবে তা পর্যালোচনা করা।"
"হিংসায় মদতে আপের কেউ জড়িত থাকলে দ্বিগুণ শাস্তি পাবেন," তাহির হুসেন প্রসঙ্গে মন্তব্য কেজরিওয়ালের
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে সেই প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতিকে আবেদন জানায়, "রাজধর্ম রক্ষা করতে নিজের পদকে কার্যকরী করুন রামনাথ কোবিন্দ।"
উত্তরপূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া হিংসায় এখনও পর্যন্ত মৃত ৩৪ জন।
এদিকে, দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার কারণেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একমাসের সময় দিল দিল্লি হাইকোর্ট । নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা ২০০-এর বেশি। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ক্ষুব্ধ হয়ে দিল্লি পুলিশকে বলে, বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও দেরি হওয়া উচিত নয়, “পরিস্থিতি খুব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা” করার জন্য দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ।
বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর, অভয় বার্মা এবং পরবেশ বার্মার বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ভিডিও চালিয়ে দেখেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি, এবং কেন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।
কঠোর বার্তা দিয়ে, আদালত জানায়, আরও একটি ১৯৮৪ হিংসার ঘটনা ঘটতে দিতে পারে না আদালত।
আজ আদালতের শুনানি শুরু হতেই, দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আবেদনকারীরা “বিদ্বেষমূলক মন্তব্য নির্বাচন করতে পারে না”, এফআইআর দায়ের করার জন্য আরও সময় চান তিনি।