দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ( Arvind Kejriwal) রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে প্রার্থনা করতে দেখা গেল মঙ্গলবার। তিনি সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, হিংসা বন্ধ করতে। মন্দির ও মসজিদে শান্তির প্রার্থনারও অনুরোধ জানান তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও আম আদমি পার্টির অন্যান্য নেতাদেরও এদিন রাজঘাটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। আহতদের দেখতে একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ফিরে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘হিন্দু, মুসলিম, পুলিশদের খুন করা হচ্ছে। বাড়ি, দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কে সাহায্য করছে? কেউ না। এই পাগলামি বন্ধ হওয়া উচিত।'' সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া হিংসা থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লি কার্যত এক যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় সোমবার। ঘটে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা। ভাঙচুর চলে দোকান, বাজার, বাড়ি, গাড়িতে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল সমস্ত দলীয় বিধায়কদের একটি বৈঠকে ডাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মীদেরও ডাকা হয়।
দিল্লি সংঘর্ষের সমালোচনায় জাভেদ আখতার, টুইট করে জানালেন ক্ষোভ
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি জেলাশাসক ও অন্যদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন শান্তি মিছিল ও শান্তি বৈঠকের আয়োজন করার, যাতে সব ধর্মের মানুষরাই অংশ নেবে।
হাসপাতালগুলিকে সম্ভাব্য সেরা চিকিৎসা দেওয়ার আর্জি জানান কেজরিওয়াল। পাশাপাশি দমকলকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে এবং দ্রুত আক্রান্ত স্থানে পৌঁছনোর ব্যাপারেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লিতে সংঘর্ষে মৃত বেড়ে ৯, সেনা নামাবে না সরকার, জানাল সূত্র
ওই বৈঠকের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর সঙ্গে শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
পুলিশ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ৪৮ জন পুলিশকর্মী ও ৯৮ জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন সোমবারের সংঘর্ষে। ওইদিন জাফরাবাদ, মৌজাপুর, চাঁদ বাগ, খুরেজি খাস ও ভজনপুরায় সিএএ-সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ হয়। তিনজন দমকল কর্মীও আহত হয়েছেন আগুন নেভাতে গিয়ে।
রবিবার বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র একটি জমায়েতের ডাক দেন। তিনি দাবি তোলেন, পুলিশ সিএএ-বিরোধীদের তিন দিনের মধ্যে তাঁদের অবস্থান থেকে সরিয়ে দিক।