Read in English
This Article is From Feb 27, 2020

Delhi Violence: পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ ওড়ালেন দিল্লির শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক

দিল্লিতে হিংসার ফলে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১০০-রও বেশি। দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)

সংঘর্ষ থামাতে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার দাবি দিল্লি পুলিশের।

Highlights

  • দিল্লিতে সোমবারের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে
  • সংঘর্ষ থামাতে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের
  • এদিকে দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিকের দাবি পর্যাপ্ত বাহিনী নেই
New Delhi:

উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে (North-East Delhi) শুরু হওয়া সংঘর্ষ থামাতে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার দাবি দিল্লি পুলিশের (Delhi Police)। সোমবারের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে দিল্লি পুলিশের পিআরও এমএস রান্ধোয়া একথা জানান। কিন্তু তাঁর দাবির উল্টো দৃশ্য দেখা গিয়েছে চাঁদবাগের মতো এলাকায়, যেখানে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক পর্যাপ্ত বাহিনীর অভাবের কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময়। তিনি দাবি ‌করেন, পর্যাপ্ত বাহিনীর অভাবেই সোমবার হিংসা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু এদিন এমএস রান্ধোয়া বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যথেষ্ট বাহিনী রয়েছে। সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা পরিস্থিতির উপরে সারাক্ষণ নজর রেখে চলেছেন। পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন ছিল না একথা বলা ভুল।'' তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কোম্পানিতে ৭০ থেকে ১০০ জন করে নিয়ে অন্তত ৬৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বাহিনীর মধ্যে পুলিশ ও আধা সেনা উভয়ই রয়েছে।

পরিস্থিতির সামাল দিতে পর্যাপ্ত বাহিনীর অভাবে সেনা নামানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সোমবার রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মিলিত হন। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন অমিত শাহ হিংসা থামাতে পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

দিল্লিতে হিংসার ফলে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১০০-রও বেশি। দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভজনপুরা, চাঁদবাধ ও কারাওয়া‌ল নগর এলাকার রাস্তায় লাঠি ও রড হাতে গুন্ডাদের দৌরাত্ম্যের কথা জানা গিয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, রবিবারের সংঘর্ষের পর ২,০০০ জনকে মোতায়েন করা হয়। পরে তা বাড়িয়ে প্রায় ৬,৭০০ করা হয়েছে।

আর একজন পুলিশ কর্মী জানাচ্ছেন, সব মিলিয়ে ৩৫ কোম্পানি আধা সেনা বাহিনী পাঠানো হলেও তাদের মধ্যে ২০ কোম্পানি নিযুক্ত রয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তার জন্য। তাদের অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।

সরকারি সূত্রের দাবি, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের ভারত সফরের সময়ই এই ধরনের হিংসা ঘটানোটা পুরোপুরি পরিকল্পনা মাফিক।

সোমবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির যে অংশগুলিতে অশান্তি হয়েছে, সেখানে এখনও থমথমে পরিবেশ। দমকল বিভাগ জানাচ্ছে, তারা প্রচুর আপৎকালীন ফোন পেয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মৌজপুরে ই-রিকশায় চড়ে যাত্রারত যাত্রীদের মেরে পয়সা ও মোবাইল ফোন লুঠ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুব উত্তেজক। আমরা উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে হিংসার অভিযোগে ফোন পাচ্ছি অনবরত।''

(তথ্য সহায়তা: এএনআই)

Advertisement

Advertisement