Delhi violence: সোমবার বাচ্চাদের জন্য খাবার আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মহম্মদ ফুরকান।
হাইলাইটস
- ৩২ বছরের ফুরকান বেরিয়েছিলেন বাচ্চাদের জন্য খাবারের সন্ধানে
- সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি
- তাঁর দাদা জানান, প্রথমে খবরটা পেয়ে তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি
নয়াদিল্লি: সিএএ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী। মারা গিয়েছেন সাতজন। মৃতদের অন্যতম এক ব্যক্তি, যিনি নিজের বাচ্চাদের জন্য খাবার আনতে এসেছিলেন। মহম্মদ ফুরকানের ভাই মহম্মদ ইমরান এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর ভাই আর নেই। দু'জনেরই হস্তশিল্পের ব্যবসা। বাস শহরের উত্তর-পূর্বে কর্দমপুরীতে। ৩৭ বছরের ইমরান জানাচ্ছেন, ‘‘আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম আড়াইটে নাগাদ। ও বাড়িতেই ছিল।'' হিংসার কারণে দোকান বন্ধ করে দিয়েছিলেন দু'জনে। ইমরানের ভাই ৩২ বছরের ফুরকান বেরিয়েছিলেন বাচ্চাদের জন্য খাবারের সন্ধানে। NDTV-কে ইমরান জানাচ্ছেন, ‘‘আমাকে কেউ একজন এসে বলল তোমরা ভাই গুলি খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। এরপর আমি ওকে ফোন করি, ও ফোন ধরেনি। এরপরই আমার উদ্বেগ বেড়ে যায়।''
এরপরই একের পর এক ফোন আসে ইমরানের কাছে। তিনি জানতে পারেন তাঁর ভাইয়ের সত্যিই গুলি লেগেছে। এবং তাঁকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
‘‘আমি দৌড়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু ততক্ষণে আমার ভাই মারা গিয়েছে। আমি ডাক্তারদের কাছে মিনতি করি ওকে বাঁচাতে। তাঁদের বলি যদি কোনও রকম সুযোগও থাকে আমরা ওকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, আর কোনও সুযোগ নেই।'' বলেন ইমরান।
বলতে বলতে গলা ধরে আসে তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘আমার পৃথিবীটাই ধ্বংস হয়ে গেল। আর কিছু বাকি নেই... ওর ছোট ছোট বাচ্চা আছে। এক ছেলে, এক মেয়ে।''
সোমবারের হিংসায় প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। সিএএ সমর্থকদের সঙ্গে সিএএ-র প্রতিবাদীদের সংঘর্ষের সূচনা হয় মৌজপুরে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে ভজনপাড়া ও চাঁদ বাগে।
শনিবার রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের কাছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবস্থান করছেন শতাধিক মহিলা। রবিবার বিকেলে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র টুইট করে সিএএ-র সমর্থনকারীদের জাফরাবাদের কাছে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান। এরপরই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একে অপরের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়তে থাকে তারা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
ইমরানের অভিযোগ, ‘‘সর্বত্র প্রতিবাদ চলছে। কপিল মিশ্রর টুইট থেকে পুরো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।''