দলের রাজ্য নেতা মুকুল রায় বলেন, "আমরা পুরভোট লড়তে রাজি। কিন্তু প্রচারের সময় কোথায়? "
হাইলাইটস
- "এপ্রিলে ভোট হলে প্রচারে জন্য সময় পাবে না বিজেপি"
- এই দাবিতে কমিশনে দরবার বিজেপির
- মুকুল রায় বলেছেন, যে কোনও সময় ভোট হোক। কিন্তু প্রচারের জন্য সময় চাই
কলকাতা: এপ্রিলের মাঝামাঝি রাজ্যে পুরভোটের সম্ভাবনা উসকে দিয়েছে রাজ্য।কিন্তু সেই সময়ে নির্বাচন হলে প্রচারের পর্যাপ্ত সময় পাবে না বিরোধী দলগুলো। তাই পর্যাপ্ত প্রচারের সময়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দরবার করল গেরুয়া শিবির। বিজেপির এক প্রতিনিধিদল এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সেই উদ্বেগ কথা জানিয়ে এসেছেন। ভবানী ভবনে দফতরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে দলীয় নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছে, এটা শাসক দলের কৌশল যাতে ভোটপ্রচারের সময় সীমিত করে দিয়ে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে পারে। দলের রাজ্য নেতা মুকুল রায় (BJP Leader Mukul Roy) বলেন, "আমরা পুরভোট লড়তে রাজি। কিন্তু প্রচারের সময় কোথায়? মাত্র ১০-১২ দিন। এটা রাজ্য সরকারের চক্রান্ত। ওরা চায় যাতে বিজেপি প্রচার করতে না পারে।" জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক পর্ষদ পরীক্ষার জন্য মাইক বাজানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে মার্চের ২৮ তারিখ অবধি চলবে পর্ষদের পরীক্ষা। তারপর মিলবে মাইক বাজানোর অনুমতি।
কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের বকেয়া ৫০,০০০ কোটি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ফলে এপ্রিলের মাঝামাঝি পুরভোট হলে মাত্র দু'সপ্তাহ প্রচারের জন্য হাতে থাকবে। এতাএই আপত্তি তুলেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, "নির্বাচনী বিধি মেনে অন্তত বিজ্ঞপ্তি জারি ও ভোটগ্রহণের মাঝে এক মাসের সময় দিতেই হবে।" নির্বাচনী বিধি বলছে, ভোট বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর ১০-১২ দিন সময় লাগে মনোনয়ন পত্র জমা ও খারিজ পর্বে। সেই সময় প্রাথমিক প্রচার সেরে নেয় রাজনৈতিক দলগুলো। এরপর মনোনয়ন পর্ব মেটার প্রায় দু'সপ্তাহ পর ভোটগ্রহণের দিন স্থির থাকে। সেই দু'সপ্তাহ পুরোদমে প্রচারে ঝাঁপায় রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি এই ভোট হলে সেই প্রায় এক মাসের সময় মিলবে না, অভিযোগ বিরোধী শিবির সূত্রে। এদিকে, বিজেপির এই কমিশনে দরবার প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি বুঝে গিয়েছে তারা হারছে। তাই এখন এসব ফন্দি আঁটছে। সাড়া রাজ্য জানে এপ্রিল কিংবা মে মাসে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চায়েত ভোট। এতদিন তারা কী করছিল? ঘুমচ্ছিল? এদিন প্রশ্ন তোলেন শোভনবাবু।
প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে সিএমআরআই হাসপাতালে উত্তেজনা! চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা পুরনিগমের ভোটের জন্য মার্চের ১-৫ তারিখের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। বাকি পুরসভাগুলোতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের সংঘটিত হতে পারে নির্বাচন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)