আরও অন্তত দু’দিন শীতের এই দাপট চলবে দিল্লিতে।
নয়াদিল্লি: ঘন কুয়াশার (Fog Hits Delhi) চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী শহরগুলি। ব্যাহত রেল পরিষেবা। ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমানযাত্রীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে বিমান সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, অন্তত ৩০টি ট্রেন দেরিতে চলছে। সোমবার সকালে রাজধানীর বায়ুমান পৌঁছেছে ‘তীব্র' ক্যাটিগরিতে। ‘আনন্দ বিহার অবজারভেটরি'-র একিউআই ধরা পড়েছে ৪৬২। ওখলা ফেজ-২-তে এই মান ৪৯৪। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমনই, ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে সকলকেই। দিল্লি ও নয়ডার সংযোগকারী রাস্তাগুলি ঢেকে গিয়েছে ঘন কুয়াশায়। এদিকে দিল্লি বিমানবন্দরে আইএলএস ব্যবহার করে ক্যাট৩বি এক্তিয়ারভুক্ত বিমানগুলি অবতরণ করতে পারছে। সমস্ত যাত্রীদের নির্দেশিকা জারি করে অনুরোধ করা হয়েছে, উড়ানের ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে। এরই মধ্যে তিনটি বিমানের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।
দৃশ্যমানতার সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময়ও। ৫০ মিটারের দূরের বস্তু দেখায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। নয়ডার এক সংবাদমাধ্যমকর্মী আকাশ কোহলি জানিয়েছেন, পশ্চিম দিল্লি থেকে নয়ডার অফিসে আসতে গিয়ে তাঁকে অত্যন্ত সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়েছে। কুয়াশায় সামনের কিছু দেখতে পাওয়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে গভীর সমস্যার। ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যের তীব্র কামড় ও কনকনে হাওয়ার দাপটে রাস্তায় বসবাসকারী মানুষদের জীবনকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, অন্তত আরও দু'দিন শীতের এই ভয়ঙ্কর দাপট চলবে।
তীব্র শীতল বায়ুপ্রবাহের কারণে ‘‘লাল সতর্কতা'' জারি হয়েছে রাজধানী সহরে। শনিবার তাপমাত্রা ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়। যা বহু দশকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, আবহাওয়া চরম অবস্থায় পৌঁছলে লাল সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া দফতর।
এই মাসের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে চলেছে ১৯.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৭ সালের পর থেকে এটাই শীতলতম ডিসেম্বর। ১৯০১ সালের হিসেবে এটাই দ্বিতীয় শীতলতম ডিসেম্বর।
ঠান্ডার এই তীব্র পরিস্থিতির দোসর হতে পারে বৃষ্টিও। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে শীতের দাপট খানিক কমতে পারে।