This Article is From Aug 09, 2019

সারদাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের জেরার মুখে ডেরেক ও’ব্রায়েন

গত ২৫ জুলাই ডেরেক ও’ব্রায়েনকে তলব করে সিবিআই। ১লা অগস্ট তাঁকে দেখা করতে বলা হয়। কিন্তু, সংসদে বাদল অধিবেশন শেষ হলেই তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হবেন বলে জানিয়ে দেন ডেরেক।

সারদাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের জেরার মুখে ডেরেক ও’ব্রায়েন

ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রায়শই দাবি করেছেন যে সরদা কেলেঙ্কারিতে "রাজনীতি" করছে বিজেপি

কলকাতা:

সারদা তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদে বিধাননগরের সিবিআই (CBI) দফতরে হাজির হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সিজিও কমম্পেক্সে আসেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তৃণমূলের মুখপত্রের প্রকাশক তথা সাংসদ ডেরেককে  (Derek O'Brien) এর আগেই তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু, সংসদে বাদল অধিবেশন চলার কারণে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে পারবেন না তিনি। চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়েছিলেন ডেরেক। এরপর শুক্রবার সিজিওতে (CGO ) হাজির হয়ে সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সামনাসামনি হন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা। রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্র জাগো বাংলার (Jago Bangla) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু লেনদেন হয়েছে। সেইসব নিয়েই তাঁর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হবে। এনডিটিভিকে জানান সিবিআইয়ের এক আধিকারিক।

 “ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে সংবিধানকে” বললেন ডেরেক ও ব্রায়েন

গত ২৫ জুলাই ডেরেক ও'ব্রায়েনকে  (Derek O'Brien) তলব করে সিবিআই। ১লা অগস্ট তাঁকে দেখা করতে বলা হয়। কিন্তু, সংসদে বাদল অধিবেশন শেষ হলেই তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হবেন বলে জানিয়ে দেন ডেরেক। সেই তলবের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সিবিআইয়ের সিজিও দফতরে আসেন তিনি। এই তলবে তিনি বা তাঁর দল যে ভীত নয়, সে কথাও ট্যুইটে জানিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ।  

রোজভ্যালি চিটফান্ডকাণ্ডে (Rosevally) গ্রেফতার করা হয়েছে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে। চলতি বছরই জেরা শেষে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে জানা গিয়েছে, রোজভ্যালি কর্ণধার ধৃত গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে মোহতার ২৫ লক্ষ টাকার একটি লেনদেন হয়। যার কিছু অংশ জাগো বাংলার অ্যাকাউন্টে এসেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়টিও এদিন জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের CM Mamata Banerjee) আঁকা ছবি লক্ষাধিক দামে বিক্রি হয়েছে। যার ক্রেতা চিটফাণ্ড মালিকরা। সে ব্যাপারেও প্রশ্ন করা হতে পারে রাজ্যসভার এই তৃণমূল সাংসদকে। এর আগে এই মামলায়, জাগো বাংলার সম্পাদক সুব্রত বক্সি (Subrato Bakshi), প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে (Mukul Roy)জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

‘‘আমরা কি পিৎজা ডেলিভারি করছি নাকি বিল পাস করছি?'': প্রশ্ন তুললেন ডেরেক ও'ব্রায়েন

ডেরেকের অভিযোগ,  সংসদে তথ্যের অধিকার (RTI) সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করার জেরেই নোটিস।  ২৬শে জুলাই এক ট্যুইট বার্তায় তিনি জানান, রাজ্য সভায় আরটিআই আইনের সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল। তিন তালাক বিলেরও বিরোদী তারা। সে কারণেই পাঠানো হল নোটিস। সিবিআই তলবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

চলতি বছরের জুলাই মাসেই চিটফান্ডকাণ্ডের তদন্তে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, রাজ্যসবার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ সহ ৬ জনকে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারও।

.