বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল কলকাতা থেকে বাগডোগরা যাওয়ার এয়ার এশিয়ার বিমানে যাত্রীদের সঙ্গে বিমানকর্মীদের তুমুল বচসা বেধে যাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ এই কথা জানিয়েছে বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
এয়ার এশিয়া বিমানের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে ওই বিমানটির কর্মীদের চরম ঝামেলা হয়। প্রায় চার ঘন্টা ধরে যাত্রা স্থগিত রাখার পর ওই বিমানকর্মীরা যাত্রীদের বিমান থেকে নেমে যাওয়ার কথা বলার পরেই ওই ঝামেলার সূত্রপাত। ওই বিমানটির এক যাত্রী এই কথা জানান।
ডিজিসিএ ( ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন) ওই ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন এবং তদন্ত শেষ হওয়ার পর আমরা যত শীঘ্র সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব", বিমান পরিবহণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা সন্ধেবেলা টুইট করে এই কথা বলেন।
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (পশ্চিমবঙ্গ) দীপঙ্কর রায়ও ওই বিমানটির যাত্রী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে।বিমানকর্মীদের "অত্যন্ত অপেশাদার ও রূঢ়" ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ জানান তিনিও।
"বিমানটির ছাড়ার কথা ছিল সকাল 9'টার সময়। প্রাথমিকভাবে ছাড়তে 30 মিনিট দেরি হয়। বিমানে উঠে যাওয়ার পর আমাদের আরও দেড়ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। পানীয় জল বা খাবারের কোনওরকম কোনও ব্যবস্থাই ছিল না", দীপঙ্কর রায় বলেন পিটিআইকে।
বিমানের পাইলট তারপর আচমকাই সমস্ত যাত্রীকে বিমান থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান দীপঙ্কর বাবু।
"বাইরে প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে সমস্ত যাত্রীই যখন তাঁর নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করেন, তখন তিনি বিমানের ভিতরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্লোয়ারটি তীব্রগতিতে চালিয়ে দেন। যাতে, যাত্রীরা বিমান থেকে বেরিয়ে যান। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পরক্ষণেই। গোটা বিমান ঢেকে যায় প্রবল ধোঁয়ায়। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল", বলেন তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বহু মহিলা সহযাত্রী বমি করতে আরম্ভ করেন। বিমানে থাকা শিশুরা তারস্বরে কাঁদতে শুরু করে।
তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যাত্রীরা এয়ার কন্ডিশনারের ব্লোয়ারটি বন্ধ করার জন্য বিমানকর্মীদের সঙ্গে প্রবল তর্ক করছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)