Read in English
This Article is From Jul 12, 2020

শহরের তিন হাসপাতাল ঘুরেও নেই চিকিৎসা! মৃত করোনা সংক্রমিত তরুণ

রোগীর বিশদ জানতে দিচ্ছিল না সেই হাসপাতাল। পরে রাত্রি ন'টা নাগাদ জানানো হয় শুভ্রজিৎ মৃত। এমন অভিযোগও করেছে মৃতের পরিবার

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

হাসপাতালের গাফিলতিতে মৃত সেই তরুণ। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।

কলকাতা :

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার গাফিলতির জেরে তরুণ করোনা রোগীর মৃত্যু! আর এই অভিযোগ শনিবার দিনভর তুলকালাম হল রাজ্যে। মৃত শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের অভিযোগ, "শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শহরের তিনটি হাসপাতাল ঘুরেও মেলেনি বেড। কামারহাটি ইএসআই, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ আর ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ, তীব্র শ্বাসকষ্ট হলেও ভর্তি নেওয়া হয়নি ওই রোগীকে। তাই চিকিৎসা না পেয়ে সেদিন রাতে মৃত্যু হয় শুভ্রজিতের।"

এমনকি, বেড ফাঁকা থাকলেও প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি এই তরুণকে। তরুণের মা আত্মহত্যার হুমকি দিলে তবে মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি নেয় শুভ্রজিৎকে, সংবাদমাধ্যমকে জানান মৃতের বাবা। পরে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দেহ আটকে রাখার অভিযোগও তুলেছেন পরিবার। এবিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, "অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।" মৃতের বাবা বলেন, "আমার ছেলে ডায়বেটিস রোগী। শুক্রবার সকাল থেকে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে প্রথমে ওকে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে আইসিইউতে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে করোনা স্পেশালিস্ট সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওরা করোনা টেস্ট করে পজিটিভ পেলে বলে বেড নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক অ্যাম্বুলেন্সে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওরা পরামর্শ দেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার।"

শুভ্রজিতের মায়ের অভিযোগ, "ছেলের করোনা সংক্রমণ জেনেও, ওরা ভর্তি নিতে চায়নি। এরপর আমি আত্মহত্যার হুমকি দিলে ওরা ভর্তি করে। করোনার চিকিৎসার জন্য যে পরিষেবা দেওয়া দরকার, তা পায়নি ছেলে। ওকে এমন এক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়, যেখানে কোনও পরিকাঠামো ছিল না।"

এমনকী, রোগীর বিশদ জানতে দিচ্ছিল না সেই হাসপাতাল। পরে রাত্রি ন'টা নাগাদ জানানো হয় শুভ্রজিৎ মৃত। এমন অভিযোগও করেছে মৃতের পরিবার। করোনা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দেহ আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement