This Article is From Feb 06, 2019

আজ পাশে থাকলেও একসময়ে রাজীবের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা

একসময়  এই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে টেলিফোন ট্যাপ করার অভিযোগ এনেছিলেন মমতা।  পরে তৃণমূল সরকারের আমলে প্রথমে বিধাননগর  ও কলকাতার  পুলিশ কমিশনার হয়েছেন রাজীব। 

আজ পাশে  থাকলেও  একসময়ে রাজীবের বিরুদ্ধে  এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা

ছত্রধর মাহাতো কে গ্রেফতার করার নেপথ্যে রাজীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

হাইলাইটস

  • রাজীবের পাশে দাঁড়িয়ে টানা তিন দিন ‘সত্যাগ্রহ’ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
  • এক সময় তাঁর বিরুদ্ধে টেলিফোন ট্যাপ করার অভিযোগ এনেছিলেন মমতা
  • প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে রাজীবের সুসম্পর্ক ছিল
কলকাতা:

কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের  পাশে দাঁড়িয়ে টানা তিন দিন ‘সত্যাগ্রহ' করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  একসময়  এই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে টেলিফোন ট্যাপ করার অভিযোগ এনেছিলেন মমতা।  তৃণমূল সরকারের আমলে প্রথমে বিধাননগর  এবং পরে কলকাতার  পুলিশ কমিশনার হয়েছেন রাজীব।  অতীতে  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর  সখ্যতা ছিল সুবিদিত।  ১৯৮৯  ব্যাচের এই আই পি এস অফিসার  পুলিশ মহলে প্রযুক্তিগত পারদর্শিতার জন্য পরিচিত।  কম্পিউটার সায়েন্স বিষয় নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংও পাশ করেছেন রাজীব।  আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাজীব  কর্মজীবন এসটিএফ-এর জয়েন্ট কমিশনার থেকে  শুরু করে  ডিআইজি সিআইডি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। তার নেতৃত্বেই এস টি এফ। পাশাপাশি  জঙ্গলমহলের   পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির নেতা  ছত্রধর মাহাতো কে গ্রেফতার করার নেপথ্যে রাজীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।  শুধু এই ঘটনা নয় সে সময় মা ও বিরোধী অভিযানেই  অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন অধুনা কলকাতার পুলিশ  কমিশনার।

রাজীবের মামলায় মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজেপির তোপের মুখে কেজরিওয়াল

রাজীবের কর্মপদ্ধতির প্রশংসা করে দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার নিরাজ কুমার নিজের বইতে একটি অধ্যায়ের কথা  লিখেছেন।  তাতে  2001 সালে সংসদ হামলার সময় নারী ভূমিকা  পালন করেছেন আর কথা বলা আছে।  শুধু তাই নয় নিরাজ লিখেছেন,  প্রতিটি  প্রয়োজনে রাজীবকে পাশে পেয়েছেন তাঁর  অধস্তন কর্মীরা।

২০১২ সালে  বিধাননগর কমিশনারেট তৈরি হয়। তখন রাজীবকেই কমিশনার বেছে নেন মমতা। এর এক বছর বাদেই চিটফান্ড কাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। তখনও রাজীবকে সামনে রেখেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য সরকার। তারাই সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করে। পরে তদন্ত ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

এরই মাঝে গত সেপ্টেম্বর মাসে  একটি অডিও টেপ আসে সংবাদ মাধ্যমের হাতে। একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ  সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে কথা বলতে শোনা যায়। সেখানে রাজ্যের চার আইপিএস অফিসারকে ভয় দেখানোর কথা  বলা  হয়। যদিও ওই  অডিওটেপের সত্যতা যাচাই করেনি এনডিটিভি।                                      

                                           

.