এই চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে অতুল লোখান্ডে ফেসবুকে একটি বেশ বড়ো পোস্ট লিখে রেখে গেছিলেন
ভোপাল: কতটা পথ পেরোলে তবে ভালোবাসা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুব অল্প মানুষের কাছেই থাকে। বেশিরভাগ মানুষই এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে অতিবাহিত করে ফেলে সারাজীবন।তবু, কোনও উত্তর পায় না। বিজেপির 30 বছর বয়সী যুবনেতা অতুল লোখান্ডেও উত্তর পেলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর এক বান্ধবীর উদ্দেশে 'নিজের ভালোবাসা' প্রমাণ করতে গিয়ে সেই বান্ধবীর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে নিজেকেই গুলি করে বসেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে পরশু রাতে। বিজেপি জনতা যুব মোর্চা নেতা অতুল লোখান্ডে তাঁর 27 বছর বয়সী বান্ধবীর বাড়িতে তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর বান্ধবীর বাবা এবং ওই যুবনেতার মধ্যে প্রবল কথা কাটাকাটি হয়। অতুল লোখান্ডে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মন্দিরে গিয়ে নিজেকে গুলি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভোপালে সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ ( দক্ষিণ ) রাহুল লোধা বলেন, "অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা ওই ব্যক্তি এখন হাসপাতালের চিকিৎসকদের অধীনে রয়েছেন। এই ব্যাপারে পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এই ব্যাপারে তদন্ত চলছে"।
তাঁর 27 বছর বয়সী বান্ধবীকে বিয়ে করতে চেয়েই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ওই নেতা, বলে জানা গিয়েছে।
এই চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে অতুল লোখান্ডের ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বলেন, ওই মহিলার বাবা তাঁকে তাঁদের শিবাজী নগরের বাড়িতে এসে তাঁর কন্যার প্রতি অতুলের ভালোবাসার প্রমাণ দেখতে চেয়েছিলেন।
"ওর বাবা আমাকে বলেছেন, ওঁর মেয়েকে আমি কতটা ভালোবাসি, তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য, ওঁদের বাড়িতে গিয়ে আমার নিজেকে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে। আমি যদি বেঁচে থাকি, তবেই তিনি তাঁর কন্যার সঙ্গে আমার বিয়ে দেবেন। আমি ওর বাড়িতে এসেছি। যদি আমি মারা যাই, তাহলে এখান থেকে আমাকে নিয়ে যেয়ো। বেঁচে থাকলে আমি নিজেই ফিরে আসব", রাত 8:56 মিনিটে লেখা একটি লম্বা মেসেজে এই কথাগুলি বলেছিলেন তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)