পশ্চিমবঙ্গ সরকার পৃথকীকরণের রাজনীতি করছে, অভিযোগ বিজেপির (প্রতীকী ছবি)
নিউ দিল্লি: কোচবিহারে যেসব রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে ৭০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের পড়ুয়া রয়েছে সেখানে আলাদা করে খাবার ঘর অর্থাৎ “ডাইনিং রুম” (dining room) গড়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার (West Bengal government)। আর রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশ ঘিরেই তীব্র কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।ওই অঞ্চলের ৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (minority communities) এই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে সরকারের ওই নির্দেশকে “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বললেন তিনি।পাশাপাশি কিছু সংখ্যক স্কুলে ওই নিয়ম কার্যকর করা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে “পৃথকীকরণ”-এর রাজনীতিরও অভিযোগ করেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেসব রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে ৭০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের পড়ুয়া রয়েছে সেখানে আলাদা করে খাবার ঘর অর্থাৎ ডাইনিং রুম গড়া হবে।রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশিকাটিকেই ট্যুইটারে তুলে ধরে এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি।
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে ফের রুদ্ধদ্বার বৈঠক মমতার, এবারে আলোচনায় সঙ্গী অভিষেকও!
যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারি আধিকারিকের কাছ থেকে দিলীপ ঘোষের এই কটাক্ষের পালটা জবাব আসে নি। “ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেন ওই বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে? নাকি এই পৃথকীকরণের নেপথ্যে কোনো অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে? অন্য কোনো ষড়যন্ত্র?”প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
মঙ্গলবার ওই নির্দেশিকাটি (circular) কোচবিহারের জেলাশাসকের কার্যালয়ের সংখ্যালঘু বিভাগ থেকে জারি করা হয়। নির্দেশিকায় সেখানকার বিদ্যালয়গুলির জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারি অথবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে যেগুলিতে ৭০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়া রয়েছে তার একটি তালিকা পাঠাতে। ওই স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল পরিবেশন করার জন্যে একটি আলাদা খাওয়ার ঘর বা ডাইনিং রুম (dining room) তৈরির বিষয়েও প্রস্তাব পাঠানোর কথা বলা হয় নির্দেশিকায়।
কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলের আধিকারিক পেটানোর ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব অমিতের
রাজ্য সরকারের এই নয়া নির্দেশিকাকেই এবার রাজনীতির হাতিয়ার করতে চায় বিরোধী দল বিজেপি (BJP)।