তৃণমূলের জেলা প্রধান অর্পিতা ঘোষ পঞ্চায়েত নেতা অমল সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন
হাইলাইটস
- অর্পিতা ঘোষ পঞ্চায়েত নেতা অমল সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
- মেরুন রঙের পোশাক পরা স্মৃতিকণা দাসকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে।
- রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত এই মামলায় কেউই গ্রেফতার হয়নি।
কলকাতা: প্রতিবাদ এবং হেনস্থা! অরাজকতা অসহিষ্ণুতার তালিকায় যুক্ত হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাও। জোর করে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করার পরে হাঁটুতে দড়ি দিয়ে বেঁধে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত নেতার নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী টেনে হিঁচড়ে মারধর করল এক শিক্ষিকাকে! এই ঘটনার এক ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। শিক্ষিকার বোনও যখন প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসেন একই অত্যাচার চলে তাঁর উপরেও! তাকেও মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং তৃণমূল নেতা অমল সরকারের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা তাকে নির্যাতন করে। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে রাস্তা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ! তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃক রাস্তা নির্মাণের জন্য জোর করে তাদের জমি দখলের প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষিকা।
রবিবার তৃণমূলের জেলা প্রধান অর্পিতা ঘোষ পঞ্চায়েত নেতা অমল সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। তবে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত এই মামলায় কেউই গ্রেফতার হয়নি।
গত বছরকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে এবছরের বইমেলা: গিল্ড
রবিবার ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে মেরুন রঙের পোশাক পরা স্মৃতিকণা দাসকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। স্মৃতিকণাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং একজন লোক তার হাঁটু দড়ি বেঁধে রাখে। বাকি একদল লোক তাকে হাত ধরে টানতে টানতে মাটিতে ফেলে দেয়।
তাঁর বড় বোন সোমা দাস সেই সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্তদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করেন তিনি। তাঁকেও মাটিতে ঠেলে ফেলা হয় এবং টেনে হিঁচড়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে পড়েছিলেন স্মৃতিকণা।
স্মৃতিকণা এবং সোমা, দু'জনকেই প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল যে তাঁদের বাড়ির সামনে নির্মিত রাস্তাটি ১২ ফুট প্রশস্ত হবে। তাঁরা এর জন্য জমি ছেড়ে দিতে রাজিও হয়েছিলেন। অভিযোগ, এর পরে আচমকাই পঞ্চায়েত ওই রাস্তাটি চব্বিশ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ আরও অনেকখানি জমিই অধিগ্রহণ করা হবে, তখন প্রথম আপত্তি জানান মহিলারা।
ফলস্বরূপ শুক্রবার, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানা এলাকার ফাতা নগর গ্রামে, যখন মহিলারা বুলডোজার এবং রোড রোলার দিয়ে কাজ শুরু করায় আপত্তি জানান তখন নৃশংস হেনস্থার মুখোমুখি পড়েন তাঁরা।
দুই মহিলাকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বড় বোন সোমা দাসকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাঁটু বেঁধে মারা হয় যাকে সেই স্মৃতিকণা দাসকেও শনিবার চিকিৎসা শেষে মুক্তি দেওয়া হয়।
পার্ক সার্কাসে সিএএ বিরোধী সমাবেশে যোগ দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মহিলার মৃত্যু
রবিবার, স্মৃতিকণা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অভিযুক্ত অমল সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
স্মৃতিকণা দাস স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি ফাতা নগরে তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকেন। তিনি মেয়েদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে ছুটে এলে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকেও।