European Parliament সিএএ নিয়ে একটি চূড়ান্ত যৌথ প্রস্তাবের বিষয়ে ভোটাভুটি করবে বলে আশা করা হয়েছিল
হাইলাইটস
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভোটাভুটি হল না ইউরোপীয় সংসদে
- এই ঘটনাকে "কূটনৈতিক জয়" হিসাবেই দেখছে ভারত
- গোটা বিষয়টি "পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ", আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছিল ভারত
নয়া দিল্লি: ইউরোপীয় সংসদে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) লাগু নিয়ে বিরোধী প্রস্তাব উত্থাপন হলেও শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তা নিয়ে ভোটাভুটি না করারই সিদ্ধান্ত নিল তাঁরা। আর এই সিদ্ধান্তকেই নিজেদের "কূটনৈতিক জয়" হিসাবে দেখছে মোদি সরকার। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে ৫৬০ জন সাংসদ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে ৬টি বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে "বৈষম্যমূলক ও বিপজ্জনকভাবে বিভেদমূলক" বলে প্রস্তাব পেশ হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদে ((EU Parliament on CAA), সেই বিষয়েই বুধবার দিনভর তর্ক-বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভোটাভুটি থেকে পিছিয়ে এল ইউরোপীয় সংসদ। তবে "জাতীয়তাবাদের নামে দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য বাড়ছে", এই বলে ভারতকে সতর্ক করেছে ইইউ সংসদ (European Parliament)।
ভোটাভুটি না হওয়ার বিষয়ে একটি সূত্রের দাবি অনেকটা এই রকম, "ভারতের বন্ধুরা আজ ইউরোপীয় সংসদে পাকিস্তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে জয় অর্জন করতে পেরেছে। ব্রেক্সিটে পরাজিত হওয়ার আগে ভারতের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় সংসদে একটি প্রস্তাব পাস করতে চেয়েছিলেন বিদায়ী ব্রিটিশ সদস্য শাফাক মহম্মদ, কিন্তু তাঁর সেই আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।"
"পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ", ইউরোপীয় ইউনিয়নের CAA বিরোধী প্রস্তাবে বলল ভারত
"আমরা আশা করি যে এই বিষয়ে (সিএএ) নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সমস্ত সুস্পষ্ট মনের অধিকারী সদস্যরা বুঝতে পারবেন", এই দাবিও করে ওই সূত্রটি। এর আগে যদিও ভারতের তরফ থেকে ইউরোপীয় সংসদের সিএএ-উদ্বেগ খারিজ করে দিয়ে বলা হয় যে সব রকম নিয়ম মেনেই সিএএ লাগু হয়েছে দেশে। তাছাড়াও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগুর বিষয়টিকে "সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ" বিষয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
CAA-বিরোধী প্রস্তাবকে "অনুপযুক্ত" বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে লিখলেন লোকসভার স্পিকার
ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষে "যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এবং পুরোপুরি গণতান্ত্রিক উপায়ে" সিএএ গৃহীত হয়েছে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় ভারতের পক্ষ থেকে। এমনকি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চিঠিও লেখেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ইইউ সংসদের সভাপতিকে সম্বোধন করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, "এই আইনটিতে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছে তাদের সহজ উপায়ে নাগরিকত্ব দানের বিধান রয়েছে। এটি কারও কাছ থেকে নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আনা হয়নি।"