हिंदी में पढ़ें
This Article is From Jul 03, 2018

বিয়ের তোড়জোড়ের মাঝে উদ্ধার মৃতদেহ! হতবাক ভাটিয়া পরিবারের আত্মীয়রা

উত্তর দিল্লির মৃত্যু রহস্য ! পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যের হাত ছিল বাঁধা, দেহ ঝুলছিল সিলিং থেকে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

সুখের সেদিন! পরিবারের সকলে একসঙ্গে   

নিউ দিল্লি:

বাস্তব  যে কল্পনাকে দশ গোল দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তা হারে হারে বুঝতে পারছেন দিল্লির  ভাটিয়া পরিবারের প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা। তাঁরা  তৈরি হচ্ছিলেন নেমন্তন্ন খাবেন বলে কিন্ত এখন সে সব অতীত। এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে সবকিছু ! ভেঙে চুরমার হয়েছে স্বপ্ন। উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার বাসিন্দা ভাটিয়া পরিবারের  11 জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে রবিবার সকালে। বাড়ির প্রবীণতম সদস্য 77  বছরের নারায়ণী দেবী থেকে শুরু করে 15 বছরের কিশোর বাদ যায়নি কেউই।   তারপর থেকেই বদলেছে সব হিসেবে। কিন্ত অবাক ভাব কাটছে না কারও। কেউ মেলাতে পারছেন না যে বাড়িতে মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল সেখানে এরকম একটা ঘটনা ঘটল কী করে?

 

শুধু বিয়ের আলোচনাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ মিলেছে একাধিক ছবিরও । তার কোনওটায় দেখা যাচ্ছে ইন্ডিয়া গেট ঘুরতে গিয়েছেন সবাই, কোথাও আবার উঠে আসছে নির্ভেজাল পারিবারিক আড্ডার ছবি। এসব দেখে খুনের কারণ বোঝার উপায় মাত্র নেই।., আছে শুধু একরাশ প্রশ্নচিহ্ন। এরই মাঝে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।  এই বাড়ির এক মেয়ে প্রিয়াঙ্কার বিয়ে পাকা হয়ে গিয়েছিল গত মাসেই। আত্মীয়রা বলছেন এ বছরের শেষেই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। আর  এ ব্যাপারে তাঁর খুড়তোতো ভাই কেতন নাগপালের সঙ্গে শনিবার রাত 11টা নাগাদ  অনেকক্ষন কথাও বলেছেন  প্রিয়াঙ্কা। বিয়ের কেনাকাটা থেকে শুরু করে কী কী করা তা নিয়ে খোশ গল্প হয় দিদি- ভাইযের। কেতন বলেন, ' কথা বলে একবারের জন্যও মনে হয়নি দিদি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবছে!' ভাটিয়াদের পাশেই থাকে মিত্তলরা। ঘটনায় হতবাক তারাও।    

                 

 

এদিকে এই ঘটে সম্পর্কে  ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছে দিল্লি পুলিশ। তাতে বলা হচ্ছে বাড়ি থেকে উদ্ধার  বেশ কিছু হাতে লেখা কাগজ উদ্ধার হয়েছে। সেই সমস্ত কাগজ পড়ে পুলিশের অনুমান মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও ধার্মিক যোগ আছে । লেখার কয়েকটি অংশে মৃত্যুর বর্ণনা আছে।  সেগুলির সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর পদ্ধতিও মিলে যাচ্ছে অক্ষরে অক্ষরে।      

 

Advertisement