हिंदी में पढ़ें
This Article is From Nov 06, 2018

লক্ষ্ণৌতে বাজারে পঞ্চাশ হাজার টাকায় এক কিলো সোনার মিষ্টি, পঁচিশ হাজারে রূপোর বাজি

‘এক্সোটিকা’  নামকরণ হয়েছে এই বিচিত্র মিষ্টির। 50000 টাকায় এক কেজি এক্সটিকা পাবেন বাজারে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
লক্ষ্ণৌ :

এই দীপাবলিতে লক্ষ্ণৌতে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সোনার মিষ্টি। দাম কেজি প্রতি 50 হাজার টাকা। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। মিষ্টিতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান থেকে নিয়ে আসা মেওয়া মেশানো হয়েছে এবং 24 ক্যারেট সোনার স্তর দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ না। এখানে কারিগরেরা রূপোর রকেট, ফুলঝুড়ি, চরকি এবং দেশলাইও তৈরি করছেন।

সোনার মিষ্টিগুলি একেবারেই সোনার বিস্কুটের মতো দেখতে। এদের উপরে 24 ক্যারেট বিশুদ্ধ সোনার পরত রয়েছে। এবং এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ম্যাকডামিয়া বাদাম, আমেরিকার ব্ল্যাকবেরি, আফগানিস্তানের কালো মুনেক্কো, চিলগোজ এবং কাশ্মীরের কেশর মেশানো হয়েছে। ‘এক্সোটিকা'  নামকরণ হয়েছে এই বিচিত্র মিষ্টির। 50000 টাকায় এক কেজি এক্সটিকা পাবেন বাজারে।

দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মিষ্টি তৈরিকারী সংস্থা ছাপ্পান্নভোগ সুইটসের মালিক রবীন্দ্র গুপ্তা বলেন, 'সোনার মিষ্টির সঙ্গে পয়সার অহঙ্কার জড়িয়ে নেই, বরং এই উপলব্ধি রয়েছে যে, যে মানুষটিকে আপনি ভালোবাসেন তাঁকে অসাধারণ এক উপহার দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

রবীন্দ্র গুপ্তা আরও বলেন, 'আমি অনেক বার চিন্তা করে দেখি যে ভালোবাসার কথা জানাতে সাধারণ মানুষ 50 হাজার টাকা কেজি মিষ্টি কিনতে পারবে না। কিন্তু আমার প্রবল ইচ্ছা ছিল যে এই মিষ্টি সাধারণ মানুষের হাতেও পৌঁছাক। অতএব আমি এক পিস মিষ্টির বিশেষ প্যাকেজ বানাই। এই অ্যান্টিক টাইপ বাক্সে মিষ্টিটি থাকবে। যা আপনি কম টাকাতেও কিনতে পারেন এবং গিফট করতে পারেন।

সোনার এই রাজকীয় মিষ্টির পাশাপাশি রূপোর বাজিও বাজারে এসেছে। রূপোর রকেট, রূপোর ফুলঝুড়ি, চরকি। এবং এই রূপোর বাজি জ্বালাতে রূপোর দেশলাইও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসব শুধু বাড়ি সাজানো আর উপহার দেওয়ার জন্যই বানানো। এগুলিতে কোনও বারুদ নেই।


পুরনো লক্ষ্ণৌতে টুন্ডে কাবাব ওয়ালি গলিতে শরাফ বিনোদ মহেশ্বরীর কারখানায় তৈরি হচ্ছে রূপোর বাজি। বিনোদই কারিগরদের সূক্ষ্ম সব নকশা শেখাচ্ছেন। কীভাবে মাথায় এল রূপোর বাজি গড়ার চিন্তা? বিনোদ বলেন, 'এটা পরিবেশ বান্ধব দীপাবলি পালনের শ্রেষ্ঠ আইডিয়া! হাতের তৈরি রূপোর এত সুন্দর বাজি যাকে উপহার দেবেন তাঁর মনও ভালো হয়ে যাবে।”

 

Advertisement
Advertisement