"আমাদের তৈরি বাজিতে দূষণ প্রায় হয় না বললেই চলে", জানিয়েছেন এক বাজি নির্মাতা।
গানাক্কুচি, আসাম: এই দীপাবলিতে সুপ্রিম কোর্ট দুই ঘন্টা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজি ফাটানোর জন্য যা আসামের ঐতিহ্যবাহী প্রণালীতে বাজি নির্মাতাদের জন্য সৌভাগ্য এনে দিতে চলেছে বলে তাঁরা আশা করছেন। ওই গ্রামবাসীরা বিশেষ প্রণালীতে ১৩০ বছর ধরে পরিবেশবান্ধব বাজি প্রস্তুত করে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। ১৮৮৫ সাল থেকে গানাক্কুচি গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের ফর্মুলা ব্যবহার করে তুবড়ি প্রস্তুত করে আসছেন যা থেকে কম শব্দ, কম ধোঁয়া প্রস্তুত হয়। কোনও কেমিক্যাল, কোনও দূষণ ছাড়াই দীপাবলি সুন্দর হয়ে ওঠে!
“আমাদের তৈরি বাজিগুলো পরিবেশবান্ধব। আমরা কম ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করি, যাতে কম দূষণ হয় সেই খেয়াল রাখি, কিন্তু সমস্যাটা হল আমাদের দেশে কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেই যার মাধ্যমে কোনটা পরিবেশবান্ধব বাজি আর কোনটা নয় সেটা নির্ধারণ করা যাবে। একবার সেটা সম্ভব হলেই আমাদের মতো ছোট শিল্প ও শিল্পীরা উপকৃত হবে”, এই পেশার সঙ্গে বংশপরম্পরায় যুক্ত গানাকুচ্চির এক বাজি নির্মাতা গোপজিত পাঠক জানিয়েছেন।
পরিবেশবান্ধব বাজি এখনও পুরোপুরি স্বীকৃতি পায়নি তবে আসামের পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে বাজারে পাওয়া যায় এমন অন্যান্য বাজির থেকে ওই বাজিগুলো কম দূষণ সৃষ্টি করে।
“মানুষের কোনও ধারণাই নেই পরিবেশবান্ধব বাজি আসলে কী! তাই বাজারে পাওয়া যায় এমন অন্যান্য বাজির তুলনায় আমরা এই বাজিগুলোকে কম দূষণ ছড়ায় বলে স্বীকৃতি দিয়েছি”, আসামের স্টেট পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সেক্রেটরি বিকে বড়ুয়া এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।
এই বিশেষ বাজিগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার গানাক্কুচি গ্রামে বিশেষ পরিষেবা প্রদান করেছে।