শ্যামা আরাধনা নিমতা সার্বজনীন শ্যামাপূজা কমিটির
কলকাতা: কলকাতা জুড়ে আলোর রোশনাই। দীপাবলির (Diwali 2019) আগে আকাশের মুখে হাসি না থাকলেও শহরের মুখ যাতে না ভার হয় তার জন্য প্যান্ডেল আর আলোর খামতি রাখছেন না সমস্ত পুজো কমিটি। শহরের পাশাপাশি আলোর উৎসবে মেতে উঠেছে শহরতলিও। তারই উদাহরণ নিমতা সার্বজনীন শ্যামাপূজা কমিটি (Nimta Sarbojonin Shayma Puja Commity)। ২৭ বছর ধরে (27 years Puja) মাতৃ আরাধনায় ব্রতী এই পুজো কমিটি থিমের পুজো করছে আট বছর ধরে। এবছর তাদের ভাবনায় ধরা দিয়েছে "কোলাম" (Kolam)। মণ্ডপে লাল-হলুদ রঙের বাহার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষকে সম্মান জানিয়ে।
"বৈদিক যুগে সৃষ্ট, দক্ষিণের সম্মান, বাঙালির লোকশৈলী, মিলনে মহান"---এই অনুভূতি নিয়ে এবছরে মণ্ডপের ভেতরে এবং গায়ে থাকবে বাঙালির অতি পরিচিত লোকশৈলী আলপনার ভিন্ন প্রকার ও ইতিহাস। ২৭ বছর ধরে মাতৃ আরাধনায় ব্রতী এই পুজো কমিটি থিমের পুজো করছে আট বছর ধরে। এবছর তাদের ভাবনায় ধরা দিয়েছে "কোলাম"।
তাই দক্ষিণ ভারতে এই লোকশৈলীর বহুল পরিচিত এবং সর্বাধিক প্রাচীন নাম "কোলাম"কে অবলম্বন করেই এবছরের থিমের নামকরণ। "কোলাম" ছাড়াও থাকছে ভারতের অন্যান্য প্রদেশের শিল্প। যেমন, "মুগ্গু"(অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা), "রাঙ্গোলে"(কর্নাটক), "মান্ডানা/মান্ডাস"(রাজস্থান), "চৌওকপুরানা"(ছত্রিশগড়), "মুর্জা, ঝোটী, চিটা"(উড়িষ্যা), "আরিপনা, হারিপান"(বিহার), "চৌওকপূজন"(উত্তর প্রদেশ), "পোক্কালাম"(কেরল), "সংস্কারভারতী, রঙ্গোলি(মহারাষ্ট্র), "সাথিয়া,গাহুলি"(গুজরাত), "ঐপান"(উত্তরাখন্ড)-এর ছাপ থাকছে মন্ডপের সামনের সমগ্র রাস্তা জুড়ে।
আবহে বাজবে এই সমস্ত প্রদেশের লোকসংস্কৃতির সুর। মাতৃমূর্তি থাকছে শঙ্খের ভেতরে। বাঙালির পৌষপার্বন-ব্রতকথা থেকে দক্ষিণের "পোঙাল", "কোলাম" হয়ে বিশ্বকবির আধুনিক শান্তিনিকেতনের আলপনা, মন্ডপের যাত্রাপথে থাকবে তার ছোঁয়া। গল্প বলবে সনাতন আর আধুনিকতার বন্ধুত্বের।
Click for more
trending news