This Article is From Oct 28, 2019

জানেন, ১৯৪৭ থেকে বন্ধ থাকার পর কেন দীপাবলিতে সেজে উঠল পাকিস্তানের এই মন্দির?

ভারত ভাগের সময়, ১৯৪৭ সাল থেকেই এই মন্দির বন্ধ ছিল। ইবেক্যুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিবিপি) কিছু মাস আগে এই মন্দিরটি ফের উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।

জানেন, ১৯৪৭ থেকে বন্ধ থাকার পর কেন দীপাবলিতে সেজে উঠল পাকিস্তানের এই মন্দির?

দীপাবলি উদযাপন (প্রতীকী)

শিয়ালকোট:

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট শহরের হিন্দুদের জন্য চলতি বছরের দীপাবলির আমেজই ছিল আলাদা! বহু বহু বছর পরে এই অঞ্চলের শাবালা তেজা সিং মন্দিরে জ্বলেছে প্রদীপ। ৭২ বছর বাদে আলোর মুখ দেখেছে এই জরাজীর্ণ মন্দির। ৭২ বছর ধরে বন্ধ থাকার পরে কিছু মাস আগেই হিন্দুদের জন্য ফের চালু করা হয়েছে এই মন্দির। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রের খবর, এতকাল পরে এই মন্দিরে দীপাবলি পালনের সুযোগ পেয়ে শহরবাসী স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত। আলোর উৎসব পালনের জন্য এই মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনাসভারও আয়োজন করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে চলছে মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজও। ভারত ভাগের সময়, ১৯৪৭ সাল থেকেই এই মন্দির বন্ধ ছিল। ইবেক্যুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিবিপি) কিছু মাস আগে এই মন্দিরটি ফের উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। মন্দিরটি নতুন করে সাজানোর কাজ চলছে। বহু বছর বাদে এখানে ফের উদযাপিত হল দীপাবলি উৎসব।

অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে জ্বলল ৬ লক্ষ প্রদীপ, নাম উঠল গিনেস বুকে

পাঞ্জাব ইটিবিপি-র উপসচিব সৈয়দ ফরাজ আব্বা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং ইটিবিপি চেয়ারম্যানের নির্দেশের পরে হিন্দু এবং শিখদের ধর্মস্থলগুলির ​পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। শাবালা তেজ সিং মন্দির ফের চালু করার বিষয়টি এটাই প্রমাণ করে যে ধর্মীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন যে লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কৃষ্ণ মন্দিরগুলির সঙ্গে সঙ্গেই পেশওয়ার, সিন্ধের সুক্কুর, করাচি এবং অন্যান্য অঞ্চলগুলিতেও দীপাবলি পালনের জন্য সরকার নানান কর্মসূচি নিয়েছে।

Diwali 2019: ফোস্কা কমে না বরফে? কম্বলে আগুন নেভে না! বাজি পোড়ানোর আগে জেনে নিন

লাহোরে অবস্থিত কৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত কাশী রাম বলেন, দীপাবলি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উদযাপন। এই আলোর উৎসব উপলক্ষে সকলেই নিজের বাড়ি এবং মন্দিরকে সাজিয়ে তোলে।

পাঞ্জাব প্রান্তের মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিষয়ক মন্ত্রী ইজাজ আলম অগাস্টাইন দীপাবলি উপলক্ষে দেশের হিন্দুদের শুভেচ্ছে ও শুভকামনা জানিয়েছেন। ইজাজ আলম অগাস্টাইন বলেন, দীপাবলি সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। যে মানুষ যে ধর্মেরই অনুগামী হন না কেন, সকলেই দেশের সমান নাগরিক এবং সকলের সমান অধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.