বৃহস্পতিবার ডিকে শিবকুমারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়
নয়াদিল্লি/বেঙ্গালুরু: আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার কর্ণাটকের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা দলের ক্রাইসিস ম্যানেজার ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar), সূত্রের খবর এমনই।গত চারদিন ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর গ্রেফতারির পরেই, শিবকুমারের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ট্যুইটে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অভিনন্দন জানানো হয় এবং বলা হয়, “প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার” তিনি। এর আগে আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে। গতমাসে নাটকীয় ঘটনার পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই, তাঁদের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি।
কংগ্রেসের তরফে ট্যুইটে লেখা হয়, “আমরা এই উদ্ধত কৌশল এবং কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার তীব্র নিন্দা করছি। অর্থনীতির খারাপ অবস্থা এবং সরকারে ব্যর্থ নীতির দিক থেকে নজর ঘোরাতে ডিকে শিবকুমারের গ্রেফতারি সরকারের আরও একটি পদক্ষেপ”।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় সিদ্ধারামাইয়া এবং এএইচডি কুমারস্বামী সরকারের মন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে। মামলা খারিজ না করা তাঁকে সুরক্ষা না দেওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ করে তদন্তকারী সংস্থা।
পরেরদিন দিল্লি রওনা দেন ৫৭ বছর বয়সী এই কংগ্রেস নেতা, জানান, তাঁর লুকানোর কোনও প্রয়োজন নেই। সেদিনই সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সোমবার পর্যন্ত চলার পর, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয় গনেশ চতুর্থী।
আবেগপ্রবণ হয়ে ডিকে শিবকুমার বলেন, “আমি আমার বাবার জন্য পুজোর আয়োজন করতে পারিনি। আমার সন্তানদের সঙ্গে আমি পুজো উৎযাপন করতাম, তারা আমাকে তা করতে দিল না”।
২০১৭-এর অগস্টে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, “হিসাব বর্হিভূত' ৩০০ কোটিরও বেশী সম্পত্তির হদিশ পান তাঁরা।