স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় যুবককে ফালাকাটা থানায় নিয়ে এসে মারধর করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল। মারধরের সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার পরই তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়। আর এবার তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিল প্রশাসন। তাঁকে আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের এমডি পদে বদল করা হয়েছে। ডিওতে দেখা যায়, ওই যুবককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন নিখিল নির্মল। বলছেন আধঘণ্টার মধ্যে থানায় নিয়ে আসতে পারলে তোমায় মেরেও ফেলতে পারি। গত রবিবার ঘটনাটি ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
স্ত্রী সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমানজনক মন্তব্য, থানায় গিয়ে যুবককে মার জেলাশাসকের
জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কিষাণ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য বিনোদকুমার সরকার নামে এক যুবক। ফালাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির পর থানায় যান জেলাশাসক এবং তাঁর স্ত্রী। থানার ইনচার্জ সৌম্যজিৎ রায়ের সামনেই যুবককে মারধর করেন জেলাশাসক। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি জানান ওই যুবক। যদিও দম্পত্তিকে থামানো যায় নি। এমনকী, নন্দিনী কিষাণ পুলিশকে লাঠি আনতে বলেন।
বিনোদকুমার সরকারকে জেলাশাসক বলেন, “আমার জেলায় কেউ আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে না। আমি যদি আধঘন্টার মধ্যে তোমায় জেলে পাঠাতে পারি, তাহলে বাড়ি গিয়ে তোমায় মেরেও ফেলতে পারি”। জেলাশাসকের স্ত্রী বলেন, “কেউ তোমায় বলেছে এসব করতে, তারা কারা” ? তিনি তাঁর ফোন বের করে, বিনোদকুমার সরকার যা লিখেছেন তা জোরে জোরে পড়তে বলেন।তবে যুবকটি তা করেন নি।এরপরেই যুবককে জিজ্ঞেস করেন, আমার নাম কী ? তখনও যুবকটি চুপ করেছিলেন। তারপরেই তাঁকে লাথি এবং চড় মারতে থাকেন নন্দিনী কিষাণ। নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। যদিও স্ত্রী ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমার স্বামীর জন্য গর্বিত। ও আমার কাছে হিরো। ছুটিতে পাঠানোর পরই বোঝা যায় কড়া ব্যবস্থা হতে চলেছে। শেষমেশ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
দেখুন ভিডিও:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)