করোনা ভাইরাস (Coronavirus) রেহাই দিচ্ছে না দুঁদে রাজনীতিবিদদেরও। এবার ওই মারণ রোগ প্রাণ কাড়ল তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) এক বিধায়কের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৩ জুন থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন ডিএমকে বিধায়ক জে আনবাজাগান, বুধবার সকালে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর (J Anbazhagan) বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ওই বিধায়ক। ২ জুন তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তখনই তিনি করোনা (COVID-19) পজিটিভ বলে জানা যায়। চিকিৎসকদের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও গত সোমবার থেকেই ডিএমকে বিধায়ক জে আনবাজাগানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। বুধবার সকালেই প্রয়াত হন তিনি।
সুখবর! এই প্রথম ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীদের সংখ্যাকে টপকে গেল সুস্থতার সংখ্যা
বিধায়ক আনবাজাগানকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখনই তামিলনাড়ুর বিরোধী দল ডিএমকে অভিযোগ তোলে যে রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাসের সঙ্কট মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
চিনের উহানকেও ছাড়িয়ে গেল মুম্বই, বাণিজ্যনগরীতে করোনা আক্রান্ত ৫১,০০০ এরও বেশি মানুষ
ডিএমকে বিধায়ককে যখন চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার কিছু সময় পরেই চিকিৎসকরা জানান, "তাঁর শরীরে অক্সিজেনের প্রচণ্ড ঘাটতি রয়েছে এবং রক্তচাপের জন্যে হৃদযন্ত্রের চলাচলও অসংলগ্ন। ওষুধের সহায়তা দেওয়া সত্ত্বেও বিধায়কের অবস্থার ক্রমশই অবনতি ঘটছে। তিনি আবার বহুদিন ধরেই কিডনির সমস্যাতেও ভুগছিলেন। তাই সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক"। কিন্তু হাসপাতালের তরফে ওই বিবৃতির পরেও আপ্রাণ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা বিধায়ককে সুস্থ করার। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হওয়ায় শেষপর্যন্ত আর শেষরক্ষা করা যায়নি। বুধবার সকালেই মারা যান ডিএমকে বিধায়ক জে আনবাজাগান।
আনবাজগানই প্রথম বড় রাজনৈতিক নেতা যিনি তামিলনাড়ুতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এদিকে তাঁর মৃত্যুর পর শাসকদল এআইএডিএমকের অনেকেই অভিযোগ করেন যে, এমকে স্টালিনের হয়ে লকডাউনে আটকে পড়া মানুষজনদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময়েই তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।