Read in English
This Article is From Aug 07, 2018

ভারতীয় রাজনীতিতে শোকের দিন, 94 বছর বয়েসে চলে গেলেন 'কালাইনার'

মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছিল 94 বছরের এই তামিল নেতার শারীরিক পরিস্থিতি খুবই সংকট জনক ছিল। আর শেষমেশ জীবনাবসান হল এই রাজনৈতিক নেতার।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • চেন্নাইয়ের কৌভেরি হাসপাতালে মৃত্যু হল করুণানিধির
  • দেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
  • কাল তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে
চেন্নাই:

প্রয়াত হলেন তামিলনাড়ুর পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে সভাপতি এম করুণানিধি। দীর্ঘ ছয় দশক ধরে তামিল রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে আসা নেতার মৃত্যু হল মঙ্গলবার। বয়স হয়েছিল 94 বছর। অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হল।  প্রথমে এমজি রামাচন্দ্রণ ও পরে জয়ললিতার সঙ্গে সারা জীবন লড়তে হয়েছে করুণানিধিকে।  হাসপাতাল থেকে দেহ ইতিমধ্যে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । জানা গিয়েছে কালই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।   

আজ সন্ধ্যা 6 টা 10 মিনিটে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হলেন কালাইনার । গত সপ্তাহখানেক ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ডিএমকে প্রধান। কিন্ত মাত্র একদিন আগে থেকে তাঁর শরীর ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। আর তাই বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। নেতার  মৃত্যুর খবরে কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘ দিনের বর্ণময় জীবন শেষ হল মঙ্গলবার।

গত  29 জুলাই করুণানিধির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়ে। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই আশঙ্কা দূর হয়ে যায়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই ঘটনাটিকে  'অস্থায়ী অবনতি' বলে অভিহিত করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন বয়সজনিত কারণেই এই শারীরিক অবনতি।

Advertisement

 কিন্তু গতকাল সন্ধেবেলা তাঁর শারীরিক অবস্থার পুনরায় অবনতি হয়। হাসপাতাল থেকে প্রকাশ করা বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর শরীরের  গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে পুনরায় সচল করে তোলাই এখন হাসপাতালের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে এই কথাও জানানো হয়েছিল যে, আগামী চব্বিশ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আর তা কাটার  আগেই  শেষ হয়ে গেল সব কিছু।  

 টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। জানা গিয়েছে কাল সকালে করুণানিধিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

গত এক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝে মধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হত। আর এই সময়টা তিনি প্রকাশ্যে আসতেনই না। পার্টি অফিস যাওয়া ছাড়া আর বাড়ির বাইরে পাও রাখতেন না। শেষবার অসুস্থ হওয়া পড়ার পর তাঁর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু অনেকেই দেখা  করেন। 

জয়ললিতা এবং রামাচন্দ্রণের মতো করুণানিধিও সিনেমা জগত দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁর চিত্রনাট্য দর্শকদের প্রশংসা পায়। 1949 সালে রাজনীতি শুরু করেন করুণানিধি। সিএন আন্নাদুরাইয়ের মৃত্যুর পর 1969 সালে প্রথমবার  মুখ্যমন্ত্রী হন কালাইনার। তিন বছর বাদে রামাচন্দ্রণকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেন। এরপর তৈরি হয় এআইডিএমকে। তারা প্রথমবার ক্ষমতায় আসে 1977 সালে। এরপর প্রায় এক যুগ সিংহাসনের বাইরেই ছিলেন সদ্য প্রয়াত এই নেতা। 1989 সালে জিতে এলেও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা হয়নি। পাকাপাকি ভাবে ক্ষমতায় আসেন আরও বেশ কয়েক বছর বাদে। বছর দুয়েক আগে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন করুণানিধি। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গড়েন ‘আম্মা’। তবে  খুব বেশি দিন পদে থাকতে পারেননি জয়ললিতা। ওই বছররে শেষের দিকেই মৃত্যু হয় তাঁর। আর এবার জীবনের অন্তিম সত্যে পৌঁছে গেলেন করুণানিধিও।

Advertisement