সারা বিশ্ব জুড়ে ক্রমেই থাবা বসাচ্ছে করোনা ভাইৱাস। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- নিজের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দৈনিক পোস্ট চিকিৎসকের
- মাদ্রিদের বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের নাম ইয়েল চেন
- টুইটারে তিনি দৈনিক পোস্ট করছেন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির
একজন সাহসী চিকিৎসক, যিনি করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) চিকিৎসা করতে করতে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি টুইটারে দৈনিক নিজের শারীরিক অস্বাচ্ছন্দ্যের বিবরণ জানাচ্ছেন সকলকে। মাদ্রিদের বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের নাম ইয়েল চেন। ৯ মার্চ তাঁর করোনা-আক্রান্ত হওয়ার কথা প্রথম ধরা পড়ে। ‘নিউইয়র্ক পোস্ট' সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই চিকিৎসক নিজের ফুসফুসের আলট্রা সাউন্ডের ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের থেকে শুভ কামনা চেয়ে ওই পোস্ট করেন তিনি। প্রথম করোনা-আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়ে ওই চিকিৎসক জানান, তাঁর গলায় ব্যথা রয়েছে। সেই সঙ্গে অসহ্য মাথা যন্ত্রণা ও শুকনো কাশি। কিন্তু শ্বাসকষ্ট তখনও শুরু হয়নি।
তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর ফুসফুসে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি।
আগামি কয়েকদিনে বিদেশে যাবেন না কোনও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, করোনা ভাইরাস নিয়ে জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
দ্বিতীয় দিন তিনি জানান, তাঁর গলাব্যথা, কাশি ও মাথাব্যথা কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বা বুক ব্যথা কোনওটাই হয়নি। তবে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়ে তার বিশদ বিবরণ দেন তিনি। সেই বিবরণ থেকে বোঝা যাচ্ছে, তাঁর ফুসফুসে জল জমা শুরু হয়েছে।
টুইটে চেন আরও জানান, ফুসফুসে সংক্রমণ থাকলেও স্টেথোস্কোপে তেমন কিছু সমস্যাজনক শব্দ শোনা যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের জন্য দর্শকহীন আইপিএল-এর আসর, সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই
তৃতীয় দিন চেন জানান মাথাব্যথা, গলাব্যথা কমলেও এবার শুরু হয়েছে ডায়েরিয়া। পরে ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট' জানায়, এখনও তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে।
চেন তাঁর টুইটে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃতীয় দিন ডায়েরিয়া শুরু হলেও শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথার মতো কোনও উপসর্গ ছিল না।
চতুর্থ দিনের টুইটে ওই চিকিৎসক জানান, তাঁর কাশি আরও বেড়েছে। তিনি অসম্ভব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তবে এখনও তাঁর বুকে কোনও ব্যথা নেই।