This Article is From Jun 14, 2019

হেলমেট পরে চিকিৎসা,শুক্রবার বয়কটের ডাক AIIMS চিকিৎসকদের

চিকিৎসকের উপরে হওয়া হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে লাগাতার বিক্ষোভ। সেই ছায়া এবার নয়াদিল্লিতেও।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from Agencies)

বাংলায় চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ছায়া এবার নয়াদিল্লিতেও।

Highlights

  • AIIMS-এর চিকিৎসকরা আজ হেলমেট ও ব্যান্ডেজ পরে রোগী দেখলেন।
  • চিকিৎসকের উপরে হওয়া হামলার প্রতিবাদে বাংলায় চলছে বিক্ষোভ।
  • সেই ছায়া এবার নয়াদিল্লিতেও।
নয়াদিল্লি:

নয়াদিল্লির (New Delhi) অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা AIIMS-এর চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার হেলমেট ও ব্যান্ডেজ পরে রোগী দেখলেন। কলকাতায় চলতে থাকা চিকিৎসকদের বিক্ষোভের সমর্থনেই তাঁদের এহেন আচরণ বলে জানা যাচ্ছে। তিনদিন আগে এক চিকিৎসকের উপরে হওয়া হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে লাগাতার বিক্ষোভ। সেই ছায়া এবার নয়াদিল্লিতেও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে শুক্রবার চিকিৎসকরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। AIIMS-এর রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন‌ (RDA) কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপরে হওয়া হামলার ঘটনার নিন্দা করেছে। এবং দাবি তুলেছে তাদের মতো যত সংগঠন রয়েছে সবাই প্রতীকী ধর্মঘটে অবতীর্ণ হোক।

মমতার বিরুদ্ধে তোপ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের দাবি বিরোধীদের​

RDA-র তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসকদের হোস্টেলে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো থেকে সেটাই প্রমাণিত হয়। সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও ন্যায় দিতে ব্যর্থ হয়েছে।'' ওই ঘটনায় গোটা দেশের চিকিৎসকরাই অত্যন্ত মর্মাহত বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বনধ ডেকেছেন চিকিৎসকরা। আগের দিনই এক মৃত রোগীর পরিবারের লোকেরা এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপরে চড়াও হয়। মাথায় চোট পেয়ে ওই চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চিকিৎসকরা দুপুর দু'টোর মধ্যে যেন কাজে যোগ দেন। কিন্তু চিকিৎসকরা তাতে রাজি হননি। তাঁদের বক্তব্য, যতক্ষণ না রাজ্য সরকারের তরফে সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তাঁরা কাজে ফিরবেন না। মমতা অবশ্য একে বিজেপি ও সিপি(আই)এমের ‘চক্রান্ত' বলে দাবি করেছেন। বিজেপি নেতা মুকুল রায় অবশ্য দাবি করেছেন, অভিযুক্তরা তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ। RDA-র তরফে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার দ্রুত প্রতিবাদী চিকিৎসকদের ব্যাপারে তৎপর ও মনোযোগী হয়ে তাঁদের জন্য নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করুন। চিকিৎসকদের উপরে হিংসা বন্ধ হোক, এই দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বি৭ওভ দেখান চিকিৎসা কর্মীরা।

হাসপাতালের পরিষেবা চালু রাখতে সিনিয়র চিকিৎসকদের চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-ও তাদের সদস্যদের কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদে সামিল হতে বলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর কাছে এই ব্যাপারে কড়া কেন্দ্রীয় আইন আনারও দাবি করা হয়।

রোগীর আত্মীয়দের হাতে চিকিৎসকদের নিগ্রহ এদেশে খুবই পরিচিত ঘটনা। নয়াদিল্লির RML Hospital কর্তৃপক্ষের তরফে একটি পুলিশ অভিযোগ দায়ের করা হয় এক রোগীর আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি এক মহিলা চিকিৎসককে চড় মারেন। এমাসের গোড়ায় এক সতেরো বছরের কিশোর ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহারাষ্ট্রের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরটির বাবা মারা গেলে এক চিকিৎসককে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে তারও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে।

Advertisement