This Article is From Jun 16, 2019

অব্যাহত চিকিৎসকদের ধর্মঘট, মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকের স্থান ঠিক হতে পারে আজ

আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। আলোচনার স্থান কোথায় হবে সেটা ঠিক করবে চিকিৎসকদের পরিচালনসভা।

অব্যাহত চিকিৎসকদের ধর্মঘট, মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকের স্থান ঠিক হতে পারে আজ

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে রাজি।

কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের (Doctors) ধর্মঘট (Strike) ছ'দিনে পৌঁছেছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের (State Government) সঙ্গে কথা বলতে রাজি। আলোচনার স্থান কোথায় হবে সেটা ঠিক করবে চিকিৎসকদের পরিচালনসভা। আগে আন্দোলনকারীরা দাবি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু এমআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসতে হবে। শনিবারে একটি অন্তর্বর্তী বৈঠকের পরে চিকিৎসকেরা, যাঁরা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসতে রাজি হননি, তাঁরা জানিয়ে দেন তাঁরা যে কোনও আলোচনায় রাজি। কিন্তু বৈঠকের স্থান পরে ঠিক করা হবে।

কাজে ফিরতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ফেরালেন চিকিৎসকরা: ১০টি তথ্য

জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে তা আজ পরিচালনসভার বৈঠকের পরেই ঠিক হবে। আমরা যে কোনও কথাবার্তার জন্য সবসময় প্রস্তুত আছি। বৈঠকের স্থানও দ্রুত ঠিক করা হবে।'' শনিবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের কাজ শুরু করতে বলেন এবং জানান সরকার তাঁদের সব দাবি মেনে নিচ্ছে। তিনি এও বলেন, চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করে কাজে ফেরার ব্যাপারে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। এই দাবি অবশ্য তীব্র ভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন ধর্মঘটরত চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ রাজ্যপালের

মমতা এও বলেন, তাঁর সরকার Essential Services Maintenance Act (ESMA) প্রয়োগ করে চিকিৎসকদের কাজে ফেরাতে চাইছে না। কাল বিকেল পাঁচটার পরেও চিকিৎসকরা বৈঠকে না এলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আইন আছে, কিন্তু আমরা সেটা ওঁদের উপরে প্রয়োগ করতে চাই না... আমরা কোনও আন্দোলনকারী চিকিৎসকের উপরেই কড়া পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদের কেরিয়ার নষ্ট করতে চাই না।'' স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা পেশ করেছে ধর্মঘটের বিষয়ে। সেখানে জানানো হয়েছে, সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে চিকিৎসা জগতের বহু মানুষ নিজেদের ‌সুরক্ষা সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন।

রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে পদক্ষেপের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।

গত সোমবার এক মৃত রোগীর পরিবারের লোকেরা এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপরে চড়াও হয়। মাথায় চোট পেয়ে ওই চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরপরই চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। যার ফলে এমার্জেন্সি বিভাগ, আউটডোর বিভাগ ও প্যাথোলজি বিভাগের পরিষেবা না মেলায় রোগীরা ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘট বন্ধ করতে কোনও অন্তবর্তীকালীন আদেশ নিতে অস্বীকার করে রাজ্য সরকারকে চিকিৎসকদের বুঝিয়ে কাজে ফেরাতে বলে।

.