This Article is From Jun 13, 2019

মমতার বিরুদ্ধে তোপ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের দাবি বিরোধীদের

বৃহস্পতিবার বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের(Doctors Strike) বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য সতর্ক করে দেন।

মমতার বিরুদ্ধে তোপ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের দাবি বিরোধীদের
কলকাতা:

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি (Doctors Strike) নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।এসএসকেএমে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের(Doctors Strike) চারঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দুষল বিরোধীরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রীত্ত্ব থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলল তারা। সমস্যা সমাধান না করে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) দোষারোপ করে চলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথার এটা কোনও রাস্তা ? সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে, তিনি চিকিৎসক, বিজেপি এবং অন্যান্যদের ওপর দোষারোপ করছেন। এটা খুবই হাস্যকর। তিনি যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত”।

কাজে ফেরার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের ৪ ঘন্টার সময়সীমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের(Doctors Strike) বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য সতর্ক করে দেন। গত তিনদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালের ক্যাম্পাস খালি করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি এবং রোগী ছাড়া আর কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ।

এনআরএস কাণ্ডের জেরঃ সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ

বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের(Doctors Strike) কাজে ফেরার জন্য চার ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তা দুপুর দুটো পর্যন্ত করেন দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি ও সিপিআইএমের চক্রান্তের কারণেই এই বিক্ষোভ হয়েছে।চিকিৎসকদের বিক্ষোভের বিষয়টিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিকরণ করছেন বলে অভিযোগ করে, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, অচলাবস্থা কাটানোর সদিচ্ছা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) । তিনি বলেন, “তিন কি সমস্যাটি সমাধান নিয়ে চিন্তিত, নাকি রাজনীতিকরণ করা নিয়ে ? যেভাবে তিনি চিকিৎসকদের হুমকি দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে, অচলাবস্থা কাটানো নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই তাঁর”।

জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ব্যাহত চিকিৎসা পরিবেষা

চিকিৎসকদের কর্মবিরতির(Doctors Strike) জের সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ। ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার, ওইদিন রাতে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে তাণ্ডব শুরু করেন মৃতের পরিবারের আত্মীয়রা। সেখানেই প্রথমে বচসা এবং পরে এক জুনিয়র চিকিৎককে মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই জুনিয়র চিকিৎসকের মাথায় আঘাত লাগে, গুরুতর অবস্থায় তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মুখ্যমন্ত্রীর(Mamata Banerjee) হুঁশিয়ারির পরেও, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিক্ষোভ(Doctors Strike) চালিয়ে যান। “বিচার চাই” বলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেবেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা।

.