Read in English
This Article is From Jun 18, 2019

ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে শুনানি স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, তবে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখে প্রত্যেক চিকিৎসকের জন্য তারা পুলিশি নিরাপত্তা দিতে বলতে পারে না।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

নিউ দিল্লি :

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চিকিৎসকরা।মঙ্গলবার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, যেহেতু তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন, সেই কারণেই, বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে কোনও তাড়াহুড়ো নেই। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, তবে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখে প্রত্যেক চিকিৎসকের জন্য তারা পুলিশি নিরাপত্তা দিতে বলতে পারে না। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে, কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাতে রাজি না হলেও, বিচারপতিরা জানান, নিরাপত্তার বৃহত্তর দিকটি খোলা রাখছেন তাঁরা। শীর্ষ আদালত বলে, “গতকাল যখন বিষয়টি তোলা হয়েছিল, আমরা আজ শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছিলাম, কারণ পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যে চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলছিল।সোমবার, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।ফলে, বিষয়টিতে হস্তক্ষেপে তাড়াহুড়ো করার আমরা কোনও কারণ দেখছি না।গরমের ছুটির পর উপযুক্ত বেঞ্চে বিষয়টি তোলা হবে”।

শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ আরও জানায়, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে, তাঁদের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বেঞ্চ আরও মন্তব্য করে, “আমরা বুঝতে পারছি যে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিন্তু সাধারণ নাগরিকের খরচে, আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে পারি না। আমাদের পুরো বিষয়টি দেখতে হবে।পুলিশ কর্মী সহ সবকিছু দেখতে হবে। আমরা সুরক্ষার বিপক্ষে নই, তবে একইসময়ে আমরা প্রত্যেক চিকিৎসকদের জন্য আমরা পুলিশকর্মী নিয়গের নির্দেশ দিতে পারি না”।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি আবেদন করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছে তারা।শুক্রবার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুব্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে সরকারি হাসপাতালগুলির চিকিৎসকদের নিরাপত্তার আর্জি জানানো হয়।

Advertisement

গত সপ্তাহে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এক জুনিয়র চিকিৎসকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তারপরেই ধর্মঘট শুরু করেন চিকিৎসকরা। 

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা। সেখানেই, সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী, তারপরেই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তার আগের দিন, আউটডোর সহ একাধিক বিষয় বন্ধ রেখে বাংলার বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

Advertisement

জুনিয়র চিকিৎসকদের নিগ্রহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আবেদনে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি  তথ্য উল্লেখ করা হয়, সেখানে দেখানো হয়, দেশের ৭৫ শতাংশ চিকিৎসক কোনও না কোনও ভাবে হামলার শিকার হয়েছেন।

সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৫০ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে, হাসপাতালের আইসিইউতে, এবং ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত রোগীর আত্মীয়রা। আবেদনে বলা হয়েছে, “চিকিৎসকরা আমাদের রক্ষাকর্তা, বিশেষ করে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা দেশের মহান কাজ করেন, বিশেষ করে  দেশের গরীব এবং প্রান্তিক মানুষের, এবং তাঁরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করেন”।

Advertisement

Advertisement