জেনে নিন এই সমগ্র ঘটনা, ১০ টি পয়েন্টে:
জয়েন্ট ফোরাম অফ জুনিয়র চিকিৎসকের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “আমরা কাজে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি, কিন্তু সমস্যার সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দিক থেকে কোনও সততার সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয় নি”।
তাদের কাছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বহু প্রতিনিধিই গিয়েছেন বলে জানিয়ে, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কোনওরকম হিংসার ঘটনায় চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে আক্রান্ত না হন, তার জন্য প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করতে বলে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয়স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। প্রতিবাদ তীব্র আকার ধারণ করার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা। এনআরএসে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার দাবি তুলেছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে বিক্ষোভরতদের “বহিরাগত” বলে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, শনিবার বিকেল ৫টাতেও তাঁদের সাক্ষাৎ-এর সময় দেওয় হয়েছিল, যদিও তাঁরা নবান্নে যান নি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অন্য রাজ্য মাঝেমধ্যেই এই ধরণের ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ করে, আমরা করিনি”
চিকিৎসদের ধর্মঘট পাঁচদিনে পা দিল, ফলে রাজ্যে ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা।তাঁদের বিক্ষোভ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জন্য তাঁর থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি সহ মোট ৬টি শর্ত তুলেছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি তাঁদের সহকর্মীর ওপর হামলা চালানোয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন তাঁরা।
চলতি ধর্মঘট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে দেখা করেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দেশজুড়ে প্রতিবাদ এবং সোমবার ধর্মঘট ডেকেছে তারা।
ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরসদের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার প্রতিবাদে সামিল হন দিল্লির ১৫টি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারকে ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা দিয়েছে AIIMS এর রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার একদিন আগে, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর এক জুনিয়র চিকিৎসকের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবারের তরফে।
রাজ্যের সরকারি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন প্রায় ৩০০ চিকিৎসক। বহু রাজ্যে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।