কলকাতা: চিকিৎসকদের ধর্মঘট(Doctors Strike) নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ পরিষবায় নাভিশ্বাস উঠেছে। চিকিৎসা করাতে গিয়েও বিফল হতে হচ্ছে বহু রোগীকেই। মৃত রোগীর পরিবারের হাতে আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের ধর্মঘট করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় উঠেছে। উপযুক্ত নিরাপত্তা না পেলে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়, বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী(Keshri Nath Tripathi)। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে চিঠি লিখে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পাশাপাশি রাজ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের (Doctors Strike) ফলে তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী(Keshri Nath Tripathi)।
চিকিৎসকদের সমস্ত নায্য দাবি মানা হবে: রাজ্য সরকার
রাজ্যপালের(Keshri Nath Tripathi) সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন এবং রাজ্যের সরকারী হাসপাতালগুলিতে তৈরি হওয়া সমস্যা মেটাতে তাঁর সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। চিকিৎসদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে তাঁদের ভরসা জোগানোর পাশাপাশি তাঁদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও কথা বলেছেন রাজ্যপাল(Keshri Nath Tripathi)। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করবে এবং “চিকিৎসকরাও কাজ করতে পারবেন”। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করবে এবং “চিকিৎসকরাও কাজ করতে পারবেন”। শুক্রবার রাজ্যপাল বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘট(Doctors Strike) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তিনি কোনও উত্তর পান নি।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানালেন, চিকিৎসকদের সমস্ত নায্য দাবিগুলি মেনে নেবেন তিনি, এবং কাজ শুরু করার জন্য চিকিৎসকদের আর্জি জানালেন। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আমরা কোনও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি না”। এদিকে, সূত্রের খবর, রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিকিৎসকদের নিগ্রহ করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সোমবার, এক রোগীর মৃত্যু হলে দুই চিকিৎসকদের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে, তারই প্রতিবাদে শুরু হয় কর্মবিরতি(Doctors Strike),যা ছড়িয়ে পড়ে অন্য রাজ্যেও।