16 বছরের মেয়েটি এক বছর ধরে পায়নি নিজের বেতনের টাকা
নিউ দিল্লি:
ঝাড়খন্ড থেকে দিল্লিতে কাজ করতে আসা 16-বছর বয়সী এক নাবালিকাকে মাসের মাইনে চাওয়ায় তাকে হত্যা করে তিন টুকরো করে ফেলে দেওয়া হল। পরিচারিকার কাজ করা জন্য যে লোকটি তাকে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিল, এই কীর্তি তারই বলে রোববার জানায় দিল্লি পুলিশ।
হত্যার একদিন বাদে মেয়েটির মৃতদেহের খন্ডাবশেষ একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়। দেহটি পাওয়ার পরে 200-ঘর বাসিন্দার মিয়ানওয়ালি নগরের সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখতে আরম্ভ করে পুলিশ।
তদন্ত শুরু করার পর পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটি মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় থাকা ঝাড়খন্ডের এক বাসিন্দাও নিখোঁজ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঝাড়খন্ডে তার গ্রামের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে সে ছিল না। তারপর, পুলিশ জানতে পারে, দিল্লিতে যেখানে সে ভাড়া থাকে, 17 মে ওখানে তার আসার কথা। তারপরেই ফাঁদ পাতে পুলিশ। লোকটিকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত মনজিৎ কারকেটা পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করে নেয় যে, মেয়েটিকে সে হত্যা করেছিল। তাকে সহায়তা করেছিল আরও দুজন। তাদের মধ্যে একজন মহিলা।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে স্বীকার করেছে, ঝাড়খন্ড থেকে গরীব এবং অল্পবয়সী মেয়েদের কাজের লোভ দেখিয়ে দিল্লিতে নিয়ে আসত তারা তিনজন।
মৃত মেয়েটিকে তিন বছর আগে দিল্লিতে নিয়ে এসে তাকে পরিচারিকার কাজে নিযুক্ত করেছিল তারা। পুলিশ জানিয়েছে, যে বাড়িতে মেয়েটি কাজ করত তার মালিকের থেকে টাকা নিত অভিযুক্তরা এবং মেয়েটিকে তার থেকে একটি পয়সাও দিত না।
এক বছর বাদে মেয়েটি কাজটি ছেড়ে দিয়ে গত 3 মে কারকেটার কাছে এসে নিজের বেতনের টাকা চাওয়ার জন্য তারা তিনজন মেয়েটিকে হত্যা করে। হত্যা করার পর দেহটি তিনটুকরো করে একটি নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।