ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে আমি দেশ ছাড়ব: মেগান
ওয়াশিংটন: আগামী সপ্তাহে ইউকে, আয়ারল্যান্ড ও ফ্রান্স সফরে যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তার আগে এক ব্রিটিশ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে মেগান মার্কেলকে (Meghan Markle) 'কদর্য' বলে মন্তব্য করলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৬-য় আমেরিকার নির্বাচনের আগে মেগান ট্রাম্পকে ক্ষতিকর বলেছিলেন। সম্ভবত সেই মন্তব্যের জেরেই ট্রাম্পের এই প্রত্যুত্তর। এদিকে ট্রাম্পের এই মন্তব্য যথারীতি শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, ইঁটের বদলে এভাবেই কি পাটকেল ছুড়লেন ট্রাম্প?
ওভালে তাঁর দফতরে বসে সান পত্রিকাকে দেওয়া এই সাক্ষাতকারে ট্রাম্প আরও বলেন, মার্কেলের এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে সরিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র হাতে ব্রেক্সিট সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছে সিএনএন।
ট্রাম্পের দাবি, ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে 'দ্য নাইট শো উইথ ল্যারি উইলমোর'-এ অভিনেত্রী মেগান মার্কেল অত্যন্ত কঠোর ভাষায় ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, রাজনীতির আঙিনায় ট্রাম্প অত্যন্ত ক্ষতিকর। এবং তিনি নাকি ভেদনীতিতে বিশ্বাসী। তাই ট্রাম্প যদি কোনোভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তিনি কানাডায় চলে যাবেন।
এরপরেই তাঁর মন্তব্য: "মেগান যে এত কদর্য (Nasty) জানতাম না। আমি জানতাম, তিনি একদম সঠিক মানসিকতার ..."
তাঁর প্রতি করা মার্কেলের মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বলেন "তিনি অভিজাত বংশের মহিলা। তাই আমার ধারণা ছিল তিনি অত্যন্ত রুচিশীল এবং মার্জিত হবেন।"
এরপরেই ব্রেক্সিট নিয়ে মে-র সমালোচনা করে তিনি বলেন, "ভেবেছিলাম, ইউকে হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শাসন ক্ষেত্রে যাবতীয় ক্ষমতা এবং সুযোগ-সুবিধে দেবে।".
আগামী ৭ জুন রক্ষণশীল থেরেসা মে-কে তাঁর মনোভাবের জন্য সম্ভবত সরিয়ে দিতে চলেছে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। তাঁর স্বাক্ষরিত সমস্ত চুক্তিও সেক্ষেত্রে বাতিল করা হবে।
"শুরুতেই তাই টেরেসাকে বলেছিলাম, সিংহাসনে বসার আগেই নিজের পক্ষে শক্তি সঞ্চয় করুন। সময়ে এই সঞ্চিত শক্তিই আপনার হয়ে কথা বলবে।.
একইসঙ্গে কোনও পক্ষ অতিরিক্ত শক্তিশালী হলে এবং যাবতীয় সুযোগ তাদের মুঠোয় থাকলে তার সঙ্গে কাজ করা খুবই সমস্যার। কারণ, তাদের হারাবার আর কিছুই থাকে না। যেমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টেরেসা কিছুই দেননি যা তারা নতুন করে হারাতে পারে। "
ট্রাম্পের কথায়, "একই সঙ্গে আমি টেরেসাকে শ্রদ্ধাও করি। তিনি আমার থেকেও যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতি বেশি ভালো জানেন বা বোঝেন।".
মে-র পদত্যাগ পত্র পেশ হলেই দল সামলাতে নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবং নতুন নেতা নির্বাচনের মে সম্ভবত আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন না। এক মাস নয়. এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে অপসারিত করা হবে।
টেরেসার পাশাপাশি একই সঙ্গে ট্রাম্প একইসঙ্গে তাঁর প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব বরিস জনসনকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, "বরিস মানুষ হিসেবে খুবই ভালো এবং একজন প্রতিভাবানব্যক্তিত্ব"।
সান পত্রিকাকে তিনি জানান, তাঁর সময়ে খুবই ভালো কাজ করেছেন বরিস।
ট্রাম্পের (Donald Trump) পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব জেরেমি হান্টও।