Read in English
This Article is From Sep 26, 2019

ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য হাঁটু-লম্বা চুল কেটে ফেললেন এই পুলিশ কর্মী! প্রশংসায় অনুষ্কা শর্মা

৪৬ বছর বয়সী এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে থাকা পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার পর থেকেই নিজের চুল দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
অফবিট Edited by

ক্যান্সার রোগীদের জন্য চুল দান করলেন অপর্ণা লাভাকুমার

সচেতনতা ছড়াচ্ছে দিকে দিকে, বদলে যাচ্ছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞাও। কিছুদিন আগেই রায়গঞ্জের ছোট্ট তিতির ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য নিজের চুল কেটে ফেলে সেই চুল দান করেছিল। এবার এই তালিকায় যোগ হলেন ত্রিশুর জেলার ইরিঞ্জালাকুড়ার সিনিয়র সিভিল পুলিশ অফিসার অপর্ণা লাভকুমার (Aparna Lavakumar)! নিজের হাঁটু অব্দি লম্বা চুল কেটে ফেলেছেন তিনি, ক্যান্সার আক্রান্তদের (donate hair for cancer patients) পাশে রইবেন বলে। অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মাও এই পদক্ষেপের জন্য কেরলের এই পুলিশ কর্মকর্তার প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালেই, অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে এই বিষয়টি শেয়ার করেছেন। মঙ্গলবার অপর্ণা লাভাকুমার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য তাঁর হাঁটু দৈর্ঘ্যের লম্বা চুল একেবারে কেটে ফেলেছেন। “কেমোথেরাপির পরে যখন চুল উঠে যেতে থাকে তা খুবই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। আমি ন্যাড়া হয়ে বিষয়টিকে স্বাভাবিক করে তুলে ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম,” বলেন তিনি। 

লিউকোমিয়ায় নেতিয়ে পড়ছে শিশু! অবুঝ, তবু ছায়াসঙ্গী হয়ে সেবায় ৫ বছরের দিদি

৪৬ বছর বয়সী এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে থাকা পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার পর থেকেই নিজের চুল দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। লাভাকুমার বলেন, “এই শিশুদের মাথার চুল চিকিৎসার কারণে পড়ে যাওয়ায় অনেক অসংবেদনসশীল মানুষ তাঁদের নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেন। অসুস্থতা এবং চিকিত্সা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি ছাড়াও সহপাঠীদের এই ধরণে মন্তব্য এবং মানুষের বাঁকা নজর তাদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।” তাই, মাথার চুলটুকু দিয়ে এই শিশুদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর এই নিঃস্বার্থ কাজ অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে লাভাকুমারের কাছে এ তেমন কিছু নয়, তাঁর কথায় এ একেবারেই “ছোট্ট একটা ব্যাপার” এবং এর জন্য প্রশংসার দাবিদার তিনি নন। 

অন্য র‍্যাপুনজেল! ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য মুম্বাই পাড়ি দিল ছোট্ট তিতিরের চুলের বেণি

Advertisement

হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, “আমার এই কাজটি এমন কোনও বিশেষ কিছু নয়। আমার চুল আবার আগের মতো হয়ে যাবে এক দু'বছর পরেই । আমার কাছে আসল হিরো হলেন তাঁরা যারা অন্যের প্রয়োজনে নিজের অঙ্গদান করে দেন।” লাভাকুমার বলেন, “চেহারাতে কী আছে! তোমার কাজ আর কথাই আসল, বাহ্যিক সাজের থেকেও।”

Advertisement

Advertisement