Read in English
This Article is From Jul 17, 2019

মুম্বইয়ে বহুতল ভাঙার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, রাতভর চলল উদ্ধারকাজ

Mumbai building collapse: জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৩টি দল ডোঙরির বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে সারারাত ধরে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চালাল

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
মুম্বাই:

মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ মুম্বইয়ের (Mumbai) জনবহুল ডোঙরি (Dongri) এলাকায় ভেঙে পড়ে ১০০ বছরের পুরনো একটি বহুতল (Mumbai building collapse)। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, এখনও অনেকেরই আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ২ শিশু সহ ৯ জন মানুষকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৩টি দল ডোঙরির বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে সারারাত ধরে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চালায়, ভেঙে ফেলা হয় বাড়িটির ধসে পড়া অংশবিশেষ (Dongri  building collapse)। তবে ধ্বংসস্তূপ ভাঙা ও সরানোর জন্যে যে ধরণের বড় যন্ত্রগুলির প্রয়োজন সেগুলি ওই এলাকার সঙ্কীর্ণ রাস্তা ও ওভারহেড তারের কারণে সেখানে আনা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া গত কয়েকদিন ধরে মুম্বইয়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে গোটা এলাকাই প্রায় জলমগ্ন হয়ে থাকায় উদ্ধারকাজ চালাতেও সমস্যা হচ্ছে।

"এই বহুতলটি (Mumbai building) ১০০ বছরের পুরনো ছিল। আমরা এই এলাকাটি পুনর্নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলাম ...আমরা তদন্তের পরেই জানতে পারব কেন এই পুনর্নির্মাণের কাজে বিলম্ব হল। এখন আমরা আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করার বিষয়েই জোর দিচ্ছি"। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ।

আন্তর্জাতিক আদালতে আজ কুলভূষণ যাদব মামলার রায়

দক্ষিণ মুম্বইয়ের জনবহুল এলাকা ডোঙরিতে দ্য কেশরবাঈ নামের বহুতলটি ভেঙে পড়ায় সামনে এল সেই বাস্তব পরিস্থিতি। ১০০ বছরেরও পুরনো এই বাড়িটিতে বাস করত অনেকগুলি পরিবার। অথচ ২০১৭ সালেই এই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বাড়ি হিসাবে আখ্যা দেয় মুম্বই পুরসভা। অর্থাৎ বিপদ এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বহুতলকে খালি করে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু না, খাতায় কলমে অতি বিপজ্জনক বহুতল হওয়া সত্ত্বেও ভাঙা হয়নি তখন।

Advertisement

জানা গেছে, মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি মালিকানাধীন এলাকার বেশিরভাগ বাড়িই যেগুলি পুরনো হয়ে গিয়ে ব্যবহারের প্রায় অযোগ্য হয়ে গেছে এবং যেগুলিত জরুরি মেরামত দরকার অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলির কাঠামো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বর্ষাতেই এই মেরামতির কাজ চলে।

তবে কিছু বাড়ি এমনও আছে যেগুলি মেরামতিতে কাজ হবে না। এক্ষেত্রেও এই এলাকার বাড়িগুলি ক্লাস্টার পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের অংশ ছিল, যার মানে এইগুলিকে ধ্বংস করে নতুন করে পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন। মুম্বই ভবন মেরামত ও পুনর্গঠন বোর্ডের (এমবিআরআরবি) চেয়ারম্যান বিনোদ ঘোষালকার জানিয়েছেন, এই বহুতলটিও একেবারে ভেঙে পুনর্নির্মাণের জন্য বিএসবি ডেভেলপারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়,  সেই কাজ সেসময় শুরু হয়নি।

Advertisement

"এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় এবং আমরা পুনর্নির্মাণের এই কাজ কেন শুরু হয়নি সে বিষয়ে তদন্ত করব। এই বিলম্বের কারণ কী তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে", সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে জানান ওই আধিকারিক।

মস্তিষ্কের মৃত্যুর পর অঙ্গদান, মৃত চিন্ময়ের দেহাংশে বাঁচলেন চারজন মানুষ

Advertisement

এদিকে ওই বহুতল ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দার জানিয়েছেন যে, তাঁরা পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রায় তিন বছর সরকারি অফিসগুলিতে ঘুরপাক খেয়েছেন।

"আমরা এই বহুতলটি মেরামত করার জন্য বিএমসি (বোম্বে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন)-এর কাছেও সাহায্যের আবেদন জানাই, কিন্তু আমাদের বলা হয় যে তাঁদের কাছে এই বিষয়ে সাহায্য করার মতো তহবিল নেই"। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও এই বাড়িতেই বসবাস করতেন তাঁরা। কেননা, মুম্বইয়ের মতো ১টি শহরে স্কুল, অফিস, হাসপাতাল কাছাকাছি রয়েছে এমন একটি জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া তাঁদের কাছে অসম্ভব ছিল।

Advertisement

আর সেই জন্যেই বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও দ্য কেশরবাঈ নামের বহুতলটিতে বাস করছিলেন তাঁরা। এর ফলে মঙ্গলবার বহুতলটি ভেঙে পড়ায় বলি হতে হল বেশ কয়েকটি প্রাণকে।

চলতি বছরের মে মাসেই, দেশের আর্থিক ও বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র মুম্বইয়ের ৪৯৯ টি পুরনো বাড়িকে "বিপজ্জনক" বলে চিহ্নিত করে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬১৯।

Advertisement