রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে বারে বারে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনখড়।
হাইলাইটস
- বৃহস্পতিবার রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
- চিঠিতে কমিশনকে সরকারের সম্প্রসারিত অংশ না হওয়ার আর্জি জানান তিনি
- রাজ্যপাল অভিযোগ আনেন, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল
পুর নির্বাচনের সময় রাজ্য সরকারের সম্প্রসারিত অংশ যেন না হয়ে ওঠে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে বৃহস্পতিবার রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে (State Poll Panel) চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভকুমার দাসকে লেখা ওই চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ আনেন, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় হিংসার ঘটনায় গণতন্ত্র কলঙ্কিত হয়েছিল। কয়েক দিন আগেই সৌরভকুমার দাসকে রাজ ভবনে দেখা করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল। এই তলবের নিন্দা করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য হিংসাকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালের উদ্বেগের কোনও প্রয়োজন নেই। কেননা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের বিষয়।''
দৈনিক ২ কোটি গ্যালন জল বেশি পাবে কলকাতা, নতুন প্লান্টের উদ্বোধন মেয়রের
পাশাপাশি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘যদি একজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি অপরাধের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে সম্প্রতি দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে তাঁর যন্ত্রণাবিদ্ধ হওয়া উচিত। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে ওই হিংসায়। এখনও হয়তো আরও মৃতদেহ উদ্ধার হতে পারে।''
এরাজ্যের রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে বারে বারে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনখড়। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে ‘বিজেপির লোক' বলে কটাক্ষ করেছে।
‘মন কি বাত'-এর জন্য সকলের পরামর্শ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে লেখেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত রাজ্যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য রাজ্যের পুলিশের উপরে কেবল ভরসা না রেখে অতিরিক্ত বাহিনীর সাহায্য চাওয়া।
তিনি তাঁর চিঠিতে এও মনে করিয়ে দেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনই সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকে। তিনি এও বলেন রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করলে তিনি অতিরিক্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। এবং এবিষয়ে তাঁকে কোনও অনুরোধ করা হলে তিনি তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের শুদ্ধতা রক্ষার পদ্ধতি হিসেবে তিনি এটাকে দেখবেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের উচিত মানুষের মন থেকে ভয় তাড়াতে সব রকম পদক্ষেপ করা এবং রাজ্য সরকারের সম্প্রসারিত হিসেবে যে ছাপ তাদের রয়েছে তা মুছে ফেলা।
আগামী মাসে পুর নির্বাচন। কলকাতা পুরসভা এবং আরও ১০৭টি পুরসভার নির্বাচনের দিন অবশ্য এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)