রাজনাথ সিংহ বলেন, বিজেপি বরাবরই দেশ ও দেশের নাগরিকদের এক করার জন্য কাজ করেছে। (ফাইল)
New Delhi: সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেওয়ার পদক্ষেপের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (Citizenship (Amendment) Bill)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh) মঙ্গলবার একথা জানিয়ে সমস্ত বিজেপি সাংসদদের আগামী সপ্তাহে সংসদে উপস্থিত থাকতে বলেন, যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই বিল পেশ করবেন। সংসদে এক সাপ্তাহিক বৈঠকে রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দেন, কোনও সাংসদ সেই সময় সংসদে অনুপস্থিত থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অসন্তুষ্ট হবেন। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর হয়ে রাজনাথ সিংহ সাংসদদের জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের মাঝেমধ্যে অনুপস্থিতির ব্যাপারে খুশি নন।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেলও সাংসদদের কাছে আর্জি জানান, সংসদে উপস্থিতির বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে। কেননা বহু গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ হতে চলেছে।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যাঁরা সেখানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে এই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। বিরোধীরা বিলটির প্রতিবাদ করেছে। সেপ্রসঙ্গে রাজনাথ সিংহ বলেন, বিজেপি বরাবরই দেশ ও দেশের নাগরিকদের এক করার জন্য কাজ করেছে।
সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, রাজনাথ সিংহ এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন যে, এই বিলটি ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী এবং এর থেকে মুসলিমরা কোনও সুবিধা পাবেন না।
তিনি বলেন, ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। ফলে সেখানে কেবল অ-মুসলিমরাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হন।
রাজনাথ সিংহ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে অনুপস্থিতির বিষয়টির বিরোধী। পাশাপাশি তিনি এটাও পছন্দ করেন না, যদি কেউ সংসদে অংসসদীয় কথাবার্তা বলেন।
রাজনাথ সিংহের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, তিনি গত সপ্তাহে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া প্রজ্ঞা ঠাকুরের কথাই সম্ভবত বলতে চাইছেন। প্রজ্ঞা ঠাকুর গত সপ্তাহে নাথুরাম গডসেকে ‘‘দেশভক্ত'' বলায় তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়।