উত্তরবঙ্গের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন অমিত শাহ
আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড খুঁজে বের করে তা নষ্ট করে দিতে নাকি পোস্ট অফিসে পুলিশ, বিধায়ক সাংসদদের পাঠাচ্ছে তৃণমূলের সরকার। বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ মঙ্গলবার বাংলায় এক সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিকে প্রধানমন্ত্রীর আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচী ‘আয়ুষ্মান ভারত' বাস্তবায়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুরু করা আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার (পিএমজেএ) অধীনে মধ্যম ও ত্রৈমাসিক যত্ন হাসপাতালে প্রতি বছর আর্থিকভাবে দুর্বল প্রতি পরিবারকে জটিল চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
কথা শুনে মনে হচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে, আমিতের সভা সম্পর্কে মত তৃণমূলের
১০.৭৪ কোটি আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের (প্রায় ৫০ কোটি সুবিধাভোগী) এই সুবিধাগুলির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। উত্তরবঙ্গে একটি দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ আম জনতার সুবিধার্থে এই প্রকল্পের সুবিধার কথা বলতেই হাততালিতে ভেঙে পড়ে সভা। তৎক্ষণাৎ অমিত শাহ উত্তর দেন: “হাততালি দেবেন না! মমতা দি বারণ করেছেন।"
ওই সমাবেশে তিনি বলেন, “তৃণমূল পোস্ট অফিসে পুলিশ পাঠাচ্ছে, নজরদারি চালাচ্ছে। আমরা বাংলায় দরিদ্রদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য ৫ লাখ টাকা দিতে চাই।” তিনি অভিযোগ তোলেন, “তাঁদের সাংসদ, বিধায়ক, পুলিশ ডাকঘর থেকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড ছিনতাই করছে এবং আটক করছে, কারণ তাঁরা ভয় পাচ্ছে যে মোদি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন।”
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম পছন্দ মমতা না মায়াবতী, জেনে নিন কী বললেন অখিলেশ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছেন, তাঁর রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর উচ্চাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের জন্য অর্থের অংশীদারিত্ব নেবে না এবং তিনি আরও অভিযোগ তোলেন যে কেন্দ্র এই পরিকল্পনায় বাংলার অবদানকে উপেক্ষা করছে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এই প্রকল্প চালাতে হলে কেন্দ্রকেই পুরো অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
অমিত শাহ আরও বলেন, “আমাকে বলুন, উত্ত্রপ্রদেশের দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা পান, বাংলার গরীব মানুষেরাও এটা কেন পাবেন না? যদি বিহার, মহারাষ্ট্রের দরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে পান কেন বাংলাও সেই সুবিধা নেবে না? মমতাদি বলছেন, না বাংলার মানুষ এই সাহায্য নেবেন না।” অমিত শাহ বলেন, “যদি আপনি আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পেতে চান, তাহলে মমতা দিকে শিক্ষা দিন।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)