মুম্বই থেকে ডঃ কাফিল খানকে গ্রেফতার করে Uttar Pradesh পুলিশ
হাইলাইটস
- ডঃ কাফিল খানকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
- আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবেশে উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে
- বৃহস্পতিবারই মুম্বইয়ের একটি সিএএ-বিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর
মুম্বই/লখনউ: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় ডিসেম্বর মাসে গোটা দেশের মতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ও। সেখানেই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (AMU) এক সভায় আপত্তিজনক মন্তব্য (Citizenship Amendment Act) করার অভিযোগ ওঠে চিকিত্সক কাফিল খানের বিরুদ্ধে, তদন্তে নামে পুলিশ। বুধবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তাঁকে (Kafeel Khan) গ্রেফতার করেছে। এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বিআরডি হাসপাতালে ৬০জনেরও বেশি শিশুমৃত্যুর জেরে, শিরোনামে এসেছিলেন কাফিল খান। অক্সিজেনের অভাবেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে সেই সময়। তখন হাসপাতালে শিশু বিভাগের দায়িত্বে থাকা কাফিল খান অন্যান্য হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করেন৷ কিন্তু অভিযোগ ওঠে, বিআরডি হাসপাতাল থেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি করে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা চালাচ্ছিলেন কাফিল খান ৷ ওই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারও করে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ ৷ পরে যদিও তাঁকে ক্লিনচিট দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।
"সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত":দাবি বিনা অপরাধে শিশুমৃত্যুর দায়ে জেল খাটা চিকিৎসকের
এবার ডঃ কাফিল খানকে গ্রেফতার করা হল উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ডিসেম্বর মাসেই এফআইআর দায়ের করা হয়, তার ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি।
১৩ ডিসেম্বর দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ডঃ কাফিল খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।
ডঃ খানের বিরুদ্ধে এফআই দায়েরের ২ দিন পরে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বড় আকারের সিএএ-বিরোধী মিছিল হয়। সেই সময় অভিযোগ ওঠে যে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে প্রতিবাদীদের উপর লাঠিচার্জ ও মারধর করেছে । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পুলিশ সেখানে প্রবেশ করলেও পরে তাদের বিরুদ্ধে হস্টেলের ভিতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
"কাপুরুষ": কৌতুক অভিনেতা কুণাল কামরাকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় বিমান সংস্থাকে আক্রমণ করলেন Rahul Gandhi
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই সিএএ-বিরোধী মিছিল করার চেষ্টা করছিল, সেই সময়ই পুলিশের সঙ্গে তাঁদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে বলে অভিযোগ।
তবে সেই সব ঘটনার সময় প্রায় ৪০ দিন আগে এফআইআর দায়েরের ভিত্তিতে কেন এতদিন পরে কাফিল খানকে গ্রেফতার করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ডঃ কাফিল খানের আজ (বৃহস্পতিবার) মুম্বইয়ে সিএএ বিরোধী একটি প্রতিবাদ-মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগের মতোই মুম্বই বাগেও মহিলা প্রতিবাদকারীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।