ইউরপিয়ান ইউনিয়নের (EU) ১৫০ জন সাংসদ সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) একটা খসড়া গ্রহণ করেছেন।
হাইলাইটস
- সিএএ-বিরোধী খসড়া গ্রহন করলো ইইউ'র সাংসদরা
- অভিযোগ, সিএএ, গোটা বিশ্বে বৃহত্তর রাষ্ট্রহীনতার পরিবেশ তৈরি করবে
- অবিলম্বে ভারতকে বার্তা পাঠাক ইইউ, আবেদন করেছেন ওই সাংসদরা
নয়াদিল্লি: ইউরপিয়ান ইউনিয়নের (EU) ১৫০ জন সাংসদ সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) একটা খসড়া গ্রহণ করেছেন। সেই খসড়াতে উল্লেখ, "যে পন্থা অবলম্বন করে ভারত (Union Government) সিএএ লাগু করছে, তা বিশ্ব ব্যাপী বৃহত্তর রাষ্ট্রহীনতার পরিসর তৈরি করবে। যার কারণে বাড়বে মানুষের দুর্ভোগ।" ওই সাংসদরা কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে ভারত সরকার, বিরোধী, সমালোচক সাংবাদিক আর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে আইনি মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। অযথা তাদের হয়রান করছে। আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তাঁদের আবেদন, "ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের কোনওপ্রকার বাণিজ্য চুক্তির আগে ওই খসড়ায় উল্লেখ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাগুলো উল্লেখ করা হোক। তোলা হোক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ।" সম্প্রতি মানবাধিকার রক্ষার ইনডেক্সে ১০ ধাপ নেমে গেছে ভারত। নাগরিকত্ব আইন আর জম্মু-কাশ্মীরে লাগু হওয়া বিধিনিষেধ এই তালিকা তৈরির নেপথ্যে নেতিবাচক অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে চলা প্লেনারি অধিবেশনে এই খসড়া পেশ করবেন ওই সাংসদরা।
পৃথক অসম"-এর দাবি, JNU'র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা
পাশাপাশি ওই ১৫০ জন সাংসদ আবেদন করেছেন, প্রতিবাদীদের মামলায় না ফাঁসিয়ে আলোচনায় বসুন। জানা গেছে, সিএএ- এনআরসি বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সমর্থন জানানো হয়েছে ওই খসড়ায়। ওই খসড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা, "আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার হনন করতে চেষ্টা করছে ভারত। ফলে সিএএ আর এনআরসি রূপায়িত হলে সে দেশের প্রচুর মুসলিম রাষ্ট্রহীন হবেন।" পাশাপাশি ওই সাংসদরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার প্রদানে ভারতের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা আছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত মানবাধিকার রক্ষার ১৫ ধারা অনুসরণ করে। যে ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের স্বতন্ত্র অধিকার আছে। রাষ্ট্র দ্বারা চিহ্নিত কোনও নাগরিক তার সেই অধিকার হারাতে পারেবন না, বা কেউ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। ইইউ'র পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক বলেছেন, সিএএ মৌলিক ভাবে বিভেদকামী।
71st Republic Day: বরাবরের মতো রঙিন পাগড়িতে চমক প্রধানমন্ত্রীর
সেই খসড়া প্রস্তাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গের কথাও উল্লেখ আছে। সেই খসড়ায় বলা, "ইইউ ও তার সদস্য রাষ্ট্রগুলো, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ঘোষিত প্রস্তাব কাশ্মীরে লাগু করুক।" গত বছর অক্টোবর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইইউ-এর সাংসদরা দু'ধাপে উপত্যকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। যে সফর ঘিরে ইতিমধ্যে সমালোচিত হয়েছে কেন্দ্রের সরকারের ভূমিকা। যেখানে দেশের বিধায়ক, সাংসদরা কাশ্মীর যেতে পারছেন না, সেখানে বিদেশি কূটনীতিকদের কীভাবে কাশ্মীর ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।