সোমবারও সেনাবাহিনী ও ডিআরডিও-র তরফে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
হাইলাইটস
- অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’-এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার পোখরানে
- এই ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডারে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন
- শ্ত্রু ট্যাঙ্ককে দিন বা রাত, যে কোনও সময়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে নাগ
নিউ দিল্লি: রবিবার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ'-এর (NAG) পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হল পোখরানে (Pokhran)। তিনটি ‘টেস্ট ফায়ারিং'ই সফল হয়েছে। কার্যত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আগে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা বা ডিআরডিও (DRDO) -র (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন) তরফে রবিবার এই পরীক্ষা করা হল। ডিআরডিও-র এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ‘‘রবিবার দিনে ও রাতে পরীক্ষামূলক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। তিনটি পরীক্ষামূলক নিক্ষেপই সফল হয়েছে।'' সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের তরফ থেকে গত বছরই ডিআরডিও-র নকশাকৃত ৫২৪ কোটি টাকার এই নাগ মিসাইন সিস্টেম (নামিস)-এৱ ব্যাপারে পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
রেলকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব এবার 'L-Team' –এর ১৪ জন কেরলিয়ান মহিলার কাঁধে
তৃতীয় প্রজন্মের এই অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে লক্ষ্যভেদে সক্ষম। শ্ত্রু ট্যাঙ্ককে দিন বা রাত, যে কোনও সময়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে নাগ।
‘‘চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সুযোগ'': বারাণসীতে মোদির ভাষণের সেরা ১০ উদ্ধৃতি
এই ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডারে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবারও সেনাবাহিনী ও ডিআরডিও-র তরফে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
১৯৮০ সালে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তর্গত প্রথম পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম নাগ। এছাড়াও অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রকে এরই মধ্যে সফল ভাবে নির্মাণ ও সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।