গতি বাড়তে বাড়তে গাড়ির স্পিডোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছিল ১৬০ কিলোমিটারের কাঁটা!
দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে চালাতে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন গাড়ির চালক। হাইওয়েতে প্রচণ্ড গতিতে চলছিল গাড়ি। কিন্তু পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। গাড়িটি গিয়ে ধাক্কা মারে এগজিট র্যাম্পে। ধাক্কার চোটে উল্টেও যায় সেটি। কত দ্রুত যাচ্ছিল গাড়িটি? ভিডিওতে একসময় দেখা যায় গাড়ির স্পিডোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৬০ কিলোমিটারের কাঁটা! ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার কানেক্টিকাটে। কানেক্টিকাটের পুলিশ তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও ভিডিওটি পোস্ট করেছে। চালকের নাম কেনেথ হফলার। তাঁর বিরাট ভাগ্য যে, এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পরেও তিনি একেবারে অক্ষত রয়েছেন। সামান্য কাটছড়ার বেশি ভুগতে হয়নি তাঁকে।
Viral: টিনের চালে আটকে পড়া বিড়াল উদ্ধারের অপূর্ব ভিডিও মন জিতল নেটিজেনদের
গাড়িটি হাইওয়ের এগজিট র্যাম্পে গিয়ে ধাক্কা মারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাড়িটি ধাক্কা মারার পর উল্টে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হফলারের প্রাণে বেঁচে যাওয়া দেখে মনে পড়তেই পারে সেই বাংলা প্রবাদ— ‘রাখে হরি মারে কে।'
‘এবিসি নিউজ' সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার গোল্ড স্টার মেমোরিয়াল ব্রিজ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় ওই লাইভটি করছিলেন ২৩ বছরের হফলার। ধাক্কার ঠিক আগে তাঁর গাড়ির পিছু নেন এক পুলিশ আধিকারিক।
পুলিশ ফেসবুকে জানিয়েছে, গোল্ড স্টার মেমোরিয়াল ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় চালক গতি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু যেহেতু সিট বেল্ট বাঁধা ছিল তাই বড়সড় কোনও চোট লাগেনি তাঁর। পুলিশের তরফে সকলকে গতি কমিয়ে নিরাপদে গাড়ি চালানোর আর্জিও জানানো হয়।
চালক কেনেথ হফলারের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বিমা না করা গাড়ি চালানো, মারিজুয়ানা সেবন ও অন্যায্য ভাবে গাড়ি ঘোরানের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুর্ঘটনার পরে তাঁকে আটক করে হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
Click for more
trending news