আলিয়া ভাট ঋষি কাপুরের শেষকৃত্য লাইভ করেন, যাতে ঋদ্ধিমা দেখতে পান।
হাইলাইটস
- লকডাউনের কারণে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়া হয়নি ঋদ্ধিমা
- তিনি গাড়ি চালিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বই আসছেন
- শুক্রবার সকালে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তিনি লেখেন, তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন
নয়াদিল্লি: দিল্লি থেকে মুম্বই— ১,৪০০ কিমি পথ পেরিয়ে ঋষি কাপুরের (Rishi Kapoor) কন্যা ঋদ্ধিমা কাপুর সাহনি ফিরছেন বাড়িতে। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘‘বাড়িতে ফিরতে ড্রাইভ করছি মা।'' দীর্ঘ পথ পেরোতে লাগবে প্রায় ১৮ ঘণ্টা। ঋদ্ধিমা অবশ্য জানাননি, দীর্ঘ পথের কতটা তিনি পেরোতে পেরেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পর মুম্বইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত হন ৬৭ বছরের ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor Death)। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতার কন্যা ঋদ্ধিমা পেশায় একজন জুয়েলারি ডিজাইনার। তাঁর বিয়ে হয়েছে শিল্পপতি ভারত সাহনির সঙ্গে। ঋদ্ধিমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে মু্ম্বই গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার। তবে তাঁকে ছাড়াই বৃহস্পতিবার ঋষির শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে। ভিডিও কলে বাবাকে শেষ দেখা দেখেছেন মেয়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঋষি কাপুরের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বন্ধুইবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই লকডাউনের কারণে অনেকেই আসতে পারেননি।
কাপুরের পরিবারের পারিবারিক সদস্যরা ছাড়া শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন ও রণবীরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়। এছাড়া শিল্পপতি অনিল আম্বানিও উপস্থিত ছিলেন এদিন।
দেখে নিন ঋদ্ধিমার হৃদয় নিংড়ানো সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
শুক্রবার সকালে ঋদ্ধিমার পোস্টের স্ক্রিনশট
বুধবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন ঋষি কাপুর। সেই রাতেই মুম্বই পর্যন্ত গাড়ি চালানোর অনুমতি চান ঋদ্ধিমা। তখনই মুম্বই আসার অনুমতি দেওয়া হয় ঋদ্ধিমাকে। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক NDTV-কে জানিয়েছেন, ঋদ্ধিমা অনুমতি চাইতেই তাঁকে দ্রুত অনুমতি দেওয়া হয়। ওই পথ পেরোতে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগবে।
ঋষি কাপুরের পরিবারের তরফে এক বিবৃতিতে সকল ঋষি ভক্তকে লকডাউন মেনে চলার আর্জি জানানো হয়। ঋষি জায়া নীতু সিংহ ইনস্টাগ্রামে সেই পোস্টটি শেয়ার করেছেন। তিনি সকলকে এটা মেনে চলতে অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার বাবাকে নিয়ে ঋদ্ধিমা যে পোস্ট করেছেন তারও ছত্রে ছত্রে ধরা রয়েছে বাবার প্রতি তাঁর বিপুল ভালবাসার জলছাপ। তিনি লেখেন, ‘‘পাপা, আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে চিরকাল ভালবাসব। আরআইপি আমার শক্তিশালী যোদ্ধা।''
ঋদ্ধিমা আরও লিখেছেন, ‘‘আমি তোমাকে প্রত্যেকটা দিন মিস করব। আমি তোমার কলগুলি মিস করব, যতদিন না আবার দেখা হচ্ছে, আই লাভ ইউ।''
নিউ ইয়র্কে ঋষি কাপুরের চিকিৎসা চলাকালীন তাঁকে নিয়মিত দেখতে আসতেন ঋদ্ধিমা, তাঁর স্বামী ও মেয়ে। প্রায় এক বছর সেখানে ঋষির ক্যানসারের চিকিৎসা হয়।