Tihar Jail: দেশের ইতিহাসে এই প্রথম চারজন দোষীকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হবে, চলছে তারই প্রস্তুতি
হাইলাইটস
- নির্ভয়া কাণ্ডে ৪ দোষীকেই ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু তিহার জেলে
- দিল্লির ওই জেলে প্রথমে মহড়া ফাঁসি হবে
- ডামি দিয়ে মহড়া ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে, আসল ফাঁসি কার্যকর হবে ২২ জানুয়ারি
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবারই দিল্লি আদালতের বিচারপতি নির্ভয়া কাণ্ডে (Nirbhaya Case) দোষী সাব্যস্ত ৪ জনের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী পবন গুপ্তা, অক্ষয়, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংকে ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ফাঁসিতে (Nirbhaya Convicts Hanging) ঝোলানো হবে। কিন্তু তার আগে দিল্লির তিহার জেলে শুরু হয়ে গেল ফাঁসির প্রস্তুতি। জেল কর্তৃপক্ষ (Tihar Jail) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ওই ফাঁসি সফল ভাবে কার্যকর করতে "ডামি" বা পুতুল দিয়ে মহড়া দেওয়া হবে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লির এক তরুণীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করা হয় এবং মারাত্মক ভাবে তাঁকে আহত করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। এই ঘটনায় গোটা দেশে আছড়ে পড়ে ক্ষোভ। সংখ্যাগরিষ্ঠের একটাই দাবি, ফাঁসিতে ঝোলানো হোক দোষীদের। গতকালই (মঙ্গলবার) দিল্লি আদালতের বিচারপতি ৪ দোষীর মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন। ফলে দেশের ইতিহাসে এই প্রথম চারজন দোষীকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হবে, তিহার জেলে চলছে তারই প্রস্তুতি ।
এই ফাঁসির প্রস্তুতি হিসাবে তিহার জেলে আয়োজন করা হচ্ছে "ডামি ফাঁসি"-র। এই "ডামি ফাঁসি" আসলে এমন একটি বিষয়, যেখানে যাঁকে ফাঁসি দেওয়া হবে তাঁর ওজন অনুযায়ী পুতুল তৈরি করে ফাঁসির একটি মহড়া দেওয়া হয়। জানা গেছে, তিহারের ৩ নং জেলে এই মহড়া চালানো হবে, পরে এখানেই নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হবে।
৭ বছর পর, ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি
সংবাদ সংস্থা এএনআই তিহার জেল প্রশাসনের এক বিবৃতি তুলে ধরে জানিয়েছে, "তিহারে আগামী দিনগুলির মধ্যে যেকোনও দিন ওই ডামি ফাঁসি কার্যকর করা হবে তবে আজ (বুধবার) তা করা হচ্ছে না। এই ফাঁসির মহড়া তিহারের ৩ নম্বর জেলেই হবে যেখানে এই ফাঁসি কার্যকর হবে। "
এই ফাঁসির প্রস্তুতির সময় উপস্থিত থাকবেন পূর্ত বিভাগের আধিকারিকরা, জেলের সুপারিনটেনডেন্ট সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও।
২০১৩ সালে এই ৩ নম্বর জেলেই সংসদ হামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। জানা গেছে, নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির জন্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে ফাঁসুড়েকে ডেকে আনা হবে। তবে আপাতত ফাঁসির আগে পর্যন্ত ওই চার দোষীই নির্জন কারাগারে থাকবেন। যদিও মৃত্যদণ্ডের আগে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হবে।
“বিচার পেল দেশের মেয়ে”, প্রতিক্রিয়া নির্ভয়ার মায়ের
তবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ওই চারজন ছাড়াও, এই গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পঞ্চম অপরাধী রাম সিং, জেলবন্দি থাকাকালীনই আত্মহত্যা করে, আর ষষ্ঠ অপরাধী, অপরাধ করার সময় তাঁর বয়স ১৮ বছরের কম থাকায়, তাঁকে সংশোধনাগারে রাখার তিন বছর পর ছেড়ে দেওয়া হয়।